নিউজ ডেস্ক:
ভারত যদি তার পূর্বঘোষণা মতো সীমান্তপারের কোন বড় জঙ্গি হামলার জবাবে সেনা অভিযানে নামে, তাহলে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে পরমাণু হামলাও চালাতে পারে। এ কথা বলেই মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করেছেন সেদেশের দু’জন নামকরা জঙ্গি বিশেষজ্ঞ।
ওই দুই বিশেষজ্ঞের মতে, ২৬/১১-র কায়দায় ভারতে যদি ফের হামলা হয়, তাহলে তার প্রত্যুত্তরে প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পুরোদস্তুর সেনা অভিযান চালানো হবে বলে আগেই সতর্ক করেছে দিল্লি। তার পরেও ভারত সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে স্নায়ুর চাপ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে তুলছে। এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে এবং ২৬/১১-র মতো কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। তখন উপায়ান্তর না দেখে পরমাণু হামলাও চালাতে পারে মরিয়া পাকিস্তান।
এই অবস্থায় ওয়াশিংটন যদি ইসলামাবাদের উপর আরও চাপ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিহানা বন্ধ করাতে পারে, কেবলমাত্র তখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। বুধবার এমনটাই জানালেন দুই মার্কিন বিশেষজ্ঞ জর্জ পারকোভিচ ও অ্যাশলে টেলিস। পারকোভিচের হুঁশিয়ারি, দক্ষিণ এশিয়াই একমাত্র অঞ্চল যেখানে অদূর ভবিষ্যতে পরমাণু যুদ্ধের সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই আশঙ্কা একেবারে আনকোরা নতুন কিছু নয়। বাজপেয়ির আমলে ভারতের পরমাণু পরীক্ষার পালটা হিসাবে পাকিস্তান যখন ‘ইসলামিক বম্বে’র জনক আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল, তখন থেকেই এই আশঙ্কার সূত্রপাত। আবদুল কাদির খান শুধু পাক পরমাণু বোমার জন্মদাতা নন, তিনিই সেই ব্যক্তি, পাক সেনাবাহিনীর মদতে যাঁর মাধ্যমে দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সহ উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ ‘ডার্টি বম্বে’র নাগাল পায়। হতে পারে, আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিজওয়ান আখতারের সাম্প্রতিক আমেরিকা সফর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ বাড়ানোরই একটি পদক্ষেপ।