শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত

আবারও প্লাবিত চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম মহানগরের নিন্মাঞ্চল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ে।
এতে নগরের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। গণপরিবহনে সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিস ও কর্মমুখী মানুষেরা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পতেঙ্গার সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংচঙ্গা বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। তবে কোন সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের কিছু নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়। তাছাড়া জলাবদ্ধ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালা-নর্দমা পরিস্কারের কাজ করেছে। ফলে পানি নেমে যায়।

জানা যায়, গত শনিবারের বৃষ্টির কারণে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হামজারবাগ, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর কে ব্লক, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বেশি সময় ধরে পানি স্থায়ী হয় নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নগরের প্রধান সড়কে। পানির কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড এলাকার অফিসগামীরা কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব হয়েছে, অনেকে আবার যেতে পারেনি। অন্যদিকে, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রী ও পথচারি। এদিকে, নগরীর চকবাজার ও প্রবর্ত্তক মোড়ে পানির কারণে বিকল্প পথেও অফিসে যেতে পারছেন না অনেকে।

বহদ্দার হাটের বাসিন্দা আহমেদ রেজা বলেন, আমার অফিস কালুরঘাট এলাকায়। সকালে বহদ্দারহাটে এসে দেখি সড়কে কোনো যানবাহন নেই। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো যানবাহন পাওয়া যায়নি। ফলে অফিসে যেতে হয়েছে অনেক বিলম্বে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গণপরিবহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার সড়ক ফুটপাত ছাপিয়ে বৃষ্টির পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত!

আবারও প্লাবিত চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল !

আপডেট সময় : ০৬:০৭:২৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম মহানগরের নিন্মাঞ্চল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ে।
এতে নগরের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। গণপরিবহনে সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিস ও কর্মমুখী মানুষেরা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পতেঙ্গার সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংচঙ্গা বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। তবে কোন সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের কিছু নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়। তাছাড়া জলাবদ্ধ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালা-নর্দমা পরিস্কারের কাজ করেছে। ফলে পানি নেমে যায়।

জানা যায়, গত শনিবারের বৃষ্টির কারণে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হামজারবাগ, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর কে ব্লক, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজারসহ নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বেশি সময় ধরে পানি স্থায়ী হয় নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নগরের প্রধান সড়কে। পানির কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড এলাকার অফিসগামীরা কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব হয়েছে, অনেকে আবার যেতে পারেনি। অন্যদিকে, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রী ও পথচারি। এদিকে, নগরীর চকবাজার ও প্রবর্ত্তক মোড়ে পানির কারণে বিকল্প পথেও অফিসে যেতে পারছেন না অনেকে।

বহদ্দার হাটের বাসিন্দা আহমেদ রেজা বলেন, আমার অফিস কালুরঘাট এলাকায়। সকালে বহদ্দারহাটে এসে দেখি সড়কে কোনো যানবাহন নেই। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো যানবাহন পাওয়া যায়নি। ফলে অফিসে যেতে হয়েছে অনেক বিলম্বে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গণপরিবহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার সড়ক ফুটপাত ছাপিয়ে বৃষ্টির পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে যায়।