শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

ভারতে বছরে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ২ লাখ আইটি কর্মী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভয়াবহ বিপর্যের দিন ঘনিয়ে আসছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতি বছরে ২ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

এমনটাই মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প মূলত যার ওপর নির্ভর করে, বিশ্বের বাজারে সেই সফটওয়্যার ও তাদের প্রযুক্তি বিক্রির পরিমাণ উত্তরোত্তর কমছে। হালে সেই সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। যার জেরে ২০২০ সালের মধ্যেই ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রের পৌনে দুই লাখ থেকে দুই লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের আরও আশঙ্কা, সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ যে হারে কমছে, তার ছাপ পড়তে পারে বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে। রফতানির ওই হ্রাস কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি আরও বাড়াবে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে যে ভূবনায়ন বিরোধী ঝোঁক দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় আর ব্রেক্সিট গণভোটের পর ইউরোপের যা অবস্থা, তাতে প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’’

প্রকাশিত সেই আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি আর ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ভিসার মূল্য যে ভাবে বেড়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের আমেরিকা ও ব্রিটেনে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রগুলিকে উত্তরোত্তর সংকুচিত করে দিচ্ছে।

মুম্বাইয়ের অর্থনীতিবিদ টেরেসা জনের কথায়, ‘‘সফটওয়্যার রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গিয়ে জিডিপি’র ১.৯ শতাংশে পৌঁছে যাবে। তার ফলে টাকা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে ডলার, পাউন্ড, ইউরোর তুলনায়। ’’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

ভারতে বছরে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ২ লাখ আইটি কর্মী !

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভয়াবহ বিপর্যের দিন ঘনিয়ে আসছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতি বছরে ২ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

এমনটাই মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প মূলত যার ওপর নির্ভর করে, বিশ্বের বাজারে সেই সফটওয়্যার ও তাদের প্রযুক্তি বিক্রির পরিমাণ উত্তরোত্তর কমছে। হালে সেই সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। যার জেরে ২০২০ সালের মধ্যেই ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রের পৌনে দুই লাখ থেকে দুই লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের আরও আশঙ্কা, সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ যে হারে কমছে, তার ছাপ পড়তে পারে বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে। রফতানির ওই হ্রাস কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি আরও বাড়াবে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে যে ভূবনায়ন বিরোধী ঝোঁক দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় আর ব্রেক্সিট গণভোটের পর ইউরোপের যা অবস্থা, তাতে প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’’

প্রকাশিত সেই আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি আর ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ভিসার মূল্য যে ভাবে বেড়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের আমেরিকা ও ব্রিটেনে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রগুলিকে উত্তরোত্তর সংকুচিত করে দিচ্ছে।

মুম্বাইয়ের অর্থনীতিবিদ টেরেসা জনের কথায়, ‘‘সফটওয়্যার রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গিয়ে জিডিপি’র ১.৯ শতাংশে পৌঁছে যাবে। তার ফলে টাকা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে ডলার, পাউন্ড, ইউরোর তুলনায়। ’’