শিরোনাম :
Logo দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক Logo চাঁদপুরে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্ভোধন বিজ্ঞান চর্চায় শিক্ষার্থীদের আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে Logo পঞ্চগড়ের বোদায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক Logo চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক Logo চাঁদপুর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার Logo হাবিপ্রবিতে “ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ইকনোমি” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo দুই সাংবাদিকসহ ৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ; পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন Logo ভিসির কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন- নিয়ন্ত্রণ প্রোভিসির Logo শিশু আছিয়ার ধর্ষক হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড Logo দেবীগঞ্জে কৃষক লীগ নেতার অডিও ফাঁস; বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা

ভারতে বছরে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ২ লাখ আইটি কর্মী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভয়াবহ বিপর্যের দিন ঘনিয়ে আসছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতি বছরে ২ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

এমনটাই মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প মূলত যার ওপর নির্ভর করে, বিশ্বের বাজারে সেই সফটওয়্যার ও তাদের প্রযুক্তি বিক্রির পরিমাণ উত্তরোত্তর কমছে। হালে সেই সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। যার জেরে ২০২০ সালের মধ্যেই ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রের পৌনে দুই লাখ থেকে দুই লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের আরও আশঙ্কা, সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ যে হারে কমছে, তার ছাপ পড়তে পারে বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে। রফতানির ওই হ্রাস কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি আরও বাড়াবে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে যে ভূবনায়ন বিরোধী ঝোঁক দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় আর ব্রেক্সিট গণভোটের পর ইউরোপের যা অবস্থা, তাতে প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’’

প্রকাশিত সেই আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি আর ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ভিসার মূল্য যে ভাবে বেড়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের আমেরিকা ও ব্রিটেনে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রগুলিকে উত্তরোত্তর সংকুচিত করে দিচ্ছে।

মুম্বাইয়ের অর্থনীতিবিদ টেরেসা জনের কথায়, ‘‘সফটওয়্যার রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গিয়ে জিডিপি’র ১.৯ শতাংশে পৌঁছে যাবে। তার ফলে টাকা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে ডলার, পাউন্ড, ইউরোর তুলনায়। ’’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

ভারতে বছরে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় ২ লাখ আইটি কর্মী !

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভয়াবহ বিপর্যের দিন ঘনিয়ে আসছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতি বছরে ২ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

এমনটাই মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প মূলত যার ওপর নির্ভর করে, বিশ্বের বাজারে সেই সফটওয়্যার ও তাদের প্রযুক্তি বিক্রির পরিমাণ উত্তরোত্তর কমছে। হালে সেই সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। যার জেরে ২০২০ সালের মধ্যেই ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রের পৌনে দুই লাখ থেকে দুই লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের আরও আশঙ্কা, সফটওয়্যার রফতানির পরিমাণ যে হারে কমছে, তার ছাপ পড়তে পারে বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে। রফতানির ওই হ্রাস কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি আরও বাড়াবে।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে যে ভূবনায়ন বিরোধী ঝোঁক দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় আর ব্রেক্সিট গণভোটের পর ইউরোপের যা অবস্থা, তাতে প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’’

প্রকাশিত সেই আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি আর ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের ভিসার মূল্য যে ভাবে বেড়ে গিয়েছে, তা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ারদের আমেরিকা ও ব্রিটেনে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রগুলিকে উত্তরোত্তর সংকুচিত করে দিচ্ছে।

মুম্বাইয়ের অর্থনীতিবিদ টেরেসা জনের কথায়, ‘‘সফটওয়্যার রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বাজেটের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গিয়ে জিডিপি’র ১.৯ শতাংশে পৌঁছে যাবে। তার ফলে টাকা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে ডলার, পাউন্ড, ইউরোর তুলনায়। ’’