শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

হেডফোন ব্যবহারে সাবধান! জেনে নিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরামদায়ক ও জাঁকজমকপূর্ণ।

কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশির্বাদই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। হেডফোন হচ্ছে তেমনই একটি প্রযুক্তি যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ছোট্ট এই গেজেটটি ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করলেও এর পার্শ প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই হেডফোনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

১. শ্রবণ জটিলতা
যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে এবং এমনকি আপনি চিরতরে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন। এছাড়া ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

২. বাতাস প্রবেশে বাধা
বর্তমানে কিছু এয়ারফোনে চমৎকার শব্দ পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।

৩. কানে ব্যাথা
যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারনত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

৪. কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ
একটি হেডফোন একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়। সুতরাং এখন থেকে এয়ারফোন শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিবেন।

৫. শ্রবণশক্তির জড়তা
কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন।

৬. মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব
হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

হেডফোন ব্যবহারে সাবধান! জেনে নিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া !

আপডেট সময় : ১১:৪৬:১৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরামদায়ক ও জাঁকজমকপূর্ণ।

কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশির্বাদই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। হেডফোন হচ্ছে তেমনই একটি প্রযুক্তি যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ছোট্ট এই গেজেটটি ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করলেও এর পার্শ প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই হেডফোনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।

১. শ্রবণ জটিলতা
যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে এবং এমনকি আপনি চিরতরে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন। এছাড়া ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

২. বাতাস প্রবেশে বাধা
বর্তমানে কিছু এয়ারফোনে চমৎকার শব্দ পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।

৩. কানে ব্যাথা
যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারনত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

৪. কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ
একটি হেডফোন একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়। সুতরাং এখন থেকে এয়ারফোন শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিবেন।

৫. শ্রবণশক্তির জড়তা
কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন।

৬. মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব
হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।