জিয়াবুল হক , টেকনাফ: দীর্ঘ দিন পর হলেও অবশেষে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। গতকাল ৯ আগষ্ট বুধবার বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রদের শরীর তল্লাশী করে তাদের ব্যবহৃত প্রায় ৫০টির মতো মোবাইল জব্দ করে ভেঙে পেলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের এ উদ্যোগকে সর্বমহল থেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার প্রতিদিনের মত বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক নুর হোসেনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ও পরিচালনা কমিটির সদস্যগন ৭ম থেকে ১০ম শ্রেনীর ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের শরীর তল্লাশী করে তাদের ব্যবহৃত প্রায় ৫০টির মতো মোবাইল সেট জব্দ করেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসাইন জানান, গত ৪ মাস যাবৎ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যাতে শ্রেনী কক্ষে মোবাইল সেট নিয়ে না আসে। এমনকি হ্যান্ড মাইকে পর্যন্ত ঘোষনা দিয়ে শ্রেনী কক্ষে মোবাইল সেট না আনার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। কিন্তু তারপরও কিছু ছাত্র-ছাত্রী তা অমান্য করে মোবাইল ব্যবহার করে যাচ্ছিল। এ প্রেক্ষিতে মোবাইল জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হলো। প্রথম ধাপে ছাত্রদের ব্যবহৃত মোবাইল গুলো জব্দ করা হয়েছে পরবর্তীতে ছাত্রীদের অনুরূপ ভাবে তল্লাশী করা হবে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আলম বাহাদুর জানান, মোবাইল ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেনী কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোযোগীতার ফলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তে অভিভাবকসহ সর্বমহল সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক-পরিচালনা কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অভিভাবক কাইছার পারভেজ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমি সাধুবাদ জানাই। পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকগন চাইলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি একসময় এতদাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে। অতীতে এসএসসিতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর শতভাগ পাশ সহ বোর্ড পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলাফলে অভিভাবকসহ সকলে হতাশ ছিলেন। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল জব্দের এ ঘটনায় হতাশ অভিভাবক মহল আবারও আশান্বিত হয়েছেন।
























































