শিরোনাম :
Logo বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল Logo পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করল ইরান Logo প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার : তৌহিদ হোসেন Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শন Logo গুলি চালাল ইরানের বাহিনী নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর Logo খুবিতে এইচআরএসএস এর উদ্যোগে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা সভা Logo ‘নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম মাঠে নামছে’ Logo চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে ১২ দোকানির জরিমানা Logo ৬ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ইবি উপাচার্য Logo খুবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’ বিষয়ক  জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

কালীগঞ্জে মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের কীটনাশক স্প্রে করে ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামে ঘাস নিধনের জন্য মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের কীটনাশক ব্যবহার করে ২০ জন কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। সংবাদ পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ধানের জমি পরিদর্শন করেছে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ১সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজার থেকে কাদিরকোল গ্রামের  তৈয়ব আলী, আব্দুল আজিজ, জলিল লস্কর, ইউনুস আলী, সাত্তার লস্কর, আলফাজ উদ্দিন, পিজুসসহ প্রায় ২০ জন কৃষক ধান চাষ করা জমির ঘাস নিধনের জন্য মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের একটি কীটনাশক  ক্রয় করে ব্যবহার করেন। স্প্রে করার ২/৩ দিনের মধ্যেই জমির ঘাস না মরে ধান গাছের গোড়া থেকে পচে যেতে শুরু করে এবং ধানগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, তিন বিঘা জমিতে ঘাস নিধনের জন্য মিমফিট ওষুধ স্প্রে করেছিলাম। জমিতে স্প্রে করার পর তার তিন বিঘা জমির ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে  গাছের  গোড়া একেবারেই পচে গেছে। ঘাস মারার ওষুধ দেওয়া হলোোও একটি ঘাষ মরেনি। কৃষক তৈয়ব আলী জানান, বিষয়টি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে।  তারা এসে  মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর বুধবার সকালে ধানের জমি পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেছেন।  তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে  কৃষকদের ক্ষতিপূরনের জন্য কীটনাশক উৎপাদনকারী মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন কৃষকদের ক্ষতিপুরণ দেবে। আর  যেসকল জমির ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে ধানের চারা প্রদান করা হবে। মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের ঝিনাইদহ অঞ্চলের কর্মকর্তা আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারাও বিষয়টি বুঝতে পারছেন না কেন  এমন হলো। তিনি বলেন, তাদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি ওই এলাকায় আছেন। ইতিমধ্যে ধান গাছের মৃত চারা ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে সকল কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে ধান লাগাতে সকল সহযোগিতা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বউ পেটানোর শীর্ষে বরিশাল

কালীগঞ্জে মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের কীটনাশক স্প্রে করে ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট

আপডেট সময় : ১০:১৫:০৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ আগস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামে ঘাস নিধনের জন্য মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের কীটনাশক ব্যবহার করে ২০ জন কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। সংবাদ পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ধানের জমি পরিদর্শন করেছে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ১সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজার থেকে কাদিরকোল গ্রামের  তৈয়ব আলী, আব্দুল আজিজ, জলিল লস্কর, ইউনুস আলী, সাত্তার লস্কর, আলফাজ উদ্দিন, পিজুসসহ প্রায় ২০ জন কৃষক ধান চাষ করা জমির ঘাস নিধনের জন্য মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের “মিমফিট ৫০০ইসি” নামের একটি কীটনাশক  ক্রয় করে ব্যবহার করেন। স্প্রে করার ২/৩ দিনের মধ্যেই জমির ঘাস না মরে ধান গাছের গোড়া থেকে পচে যেতে শুরু করে এবং ধানগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, তিন বিঘা জমিতে ঘাস নিধনের জন্য মিমফিট ওষুধ স্প্রে করেছিলাম। জমিতে স্প্রে করার পর তার তিন বিঘা জমির ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে  গাছের  গোড়া একেবারেই পচে গেছে। ঘাস মারার ওষুধ দেওয়া হলোোও একটি ঘাষ মরেনি। কৃষক তৈয়ব আলী জানান, বিষয়টি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে।  তারা এসে  মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর বুধবার সকালে ধানের জমি পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেছেন।  তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে  কৃষকদের ক্ষতিপূরনের জন্য কীটনাশক উৎপাদনকারী মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন কৃষকদের ক্ষতিপুরণ দেবে। আর  যেসকল জমির ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে ধানের চারা প্রদান করা হবে। মিমপ্লেস্ক এগ্রোক্যামেকাল লিমিটেডের ঝিনাইদহ অঞ্চলের কর্মকর্তা আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারাও বিষয়টি বুঝতে পারছেন না কেন  এমন হলো। তিনি বলেন, তাদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি ওই এলাকায় আছেন। ইতিমধ্যে ধান গাছের মৃত চারা ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে সকল কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে ধান লাগাতে সকল সহযোগিতা করা হবে।