নিউজ ডেস্ক:
জঙ্গিদের মূল উৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই জঙ্গিদের দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছি। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিটি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করেছি।’ জনগণকে সাথে নিয়েই প্রশাসন ও সরকার চলতে চায় বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহে জেলা পুলিশের কার্যালয় ও অফিসার্স মেসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের কন্ট্রোল রুম ও মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে সংবাদ প্রেরণ ও সংগ্রহ সহজ হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে অপরাধ ও দূর্ঘটনা কমবে। এটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ।
ময়মনসিংহ শহরের স্মৃতিচারণ করে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আগের চেয়ে এই শহরের অবনতি হয়েছে। সরু রাস্তা-ঘাটের কারণে যানজট হচ্ছে। শহরটি নোংরা ও অপরিস্কার। এখানকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ‘ভিশনারি’ নেতা দরকার। এক্ষেত্রে মেয়র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আইজিপি যানজট নিরসনে পুলিশকে অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা মাষ্টারবাড়ি থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার পথ সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকবে এবং অপরাধ প্রবণতাও কমবে। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। অপরাধী বা যানবাহনের গতিবিধি কন্ট্রোল রুম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।
পরে প্রধান অতিথি সিসি ক্যামেরা নেটওয়ার্কের কন্ট্রোল রুম ও মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করেন। বিকেলে পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন আইজিপি। এসময় তাঁর সহধর্মিণী মিসেস শামসুন্নাহার রহমান উপস্থিত ছিলেন।