শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

শৈলকুপায় নদী ভাঙন রোধে বরাদ্দ না থাকার কারনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের এক নম্বন ওয়াডের্র বরুলিয়া গ্রামে ভয়াবহ আকারে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে ও নদীর পানি কমতে থাকায় নদী ভাঙন অতি মাত্রায় রুপ নিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইতি মধ্যে ওখানে থাকা কয়েকটি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।ওই এলাকার মানুষ চরম আকারে আতংকের মধ্যে দিনপাত করছে। বরুলিয়া গ্রামে মোট জনসংখ্যা ১৫০০ জনের মত। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের অর্ধেক মানুষের জমি জমা বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।অনেক পরিবার জমিজমা হারিয়ে এখন প্রায় নিঃস্ব।
ওই এলাকার নদী পাড়ের বাসীন্দা, মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ফিরোজ জানান, আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে আমি টয়লেটে যাব এমতা অবস্থায় দেখি টিউবওয়েল সহ পাশে থাকা ল্যাটটিন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমাদের বসত ভিটা কখন নদী গর্ভে চলে যায় সেই চিন্তায় অস্থির আছি। ইতি মধ্যে তার ৩ বিঘা জমি নদী গর্ভে। পাট, ধান, সবজির ক্ষেত সহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তার পরিবারে সবাই কান্না আর বিলাপ করতে থাকে আর বলে আমরা এখন কোথায় যাব, আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা করো।

গ্রামবাসীরা জানান, এতো বড় ভয়াবহ রুপ নেওয়ার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রুপ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রশাসনের কোন লোকও আমাদের এই নাজুক অবস্থা পরির্দশন করতে আসেনি। একই গ্রামের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আসাদ অভিযোগ করে বলেন, আমরা শুনতে পাড়ি প্রায় আমাদের নদী ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ আসে কিন্তু আমরা পাই না। তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার মত কাজ আসে কে বা কারা সব অর্থই খেয়ে ফেলেছে।

আসাদ আরো জানান, এই গ্রাম হতে সামনের কেশনগর মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ১.৫০ কি:মি: রাস্তার বরাদ্দ সম্পূর্ন অর্থই গ্রাস করেছে। সরজমিনে এখন রাস্তার কোন লেশ মাত্র নেই। নদীর পানি যতই কমছে ততই নদী ভাঙন আরো কঠোর রুপ নিচ্ছে। এ ভাবে চলতে খাকলে গ্রামের সম্পূর্ন অংশই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা জাগছে। সর্বপরি গ্রাম বাসিরা সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রশাসনের সকল স্তরের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, এ নদী ভাঙন রোধে তারা যেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করে ও অচিরেই যেন এ সমস্যার সমাধান করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত

শৈলকুপায় নদী ভাঙন রোধে বরাদ্দ না থাকার কারনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের এক নম্বন ওয়াডের্র বরুলিয়া গ্রামে ভয়াবহ আকারে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে ও নদীর পানি কমতে থাকায় নদী ভাঙন অতি মাত্রায় রুপ নিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইতি মধ্যে ওখানে থাকা কয়েকটি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।ওই এলাকার মানুষ চরম আকারে আতংকের মধ্যে দিনপাত করছে। বরুলিয়া গ্রামে মোট জনসংখ্যা ১৫০০ জনের মত। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের অর্ধেক মানুষের জমি জমা বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।অনেক পরিবার জমিজমা হারিয়ে এখন প্রায় নিঃস্ব।
ওই এলাকার নদী পাড়ের বাসীন্দা, মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ফিরোজ জানান, আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে আমি টয়লেটে যাব এমতা অবস্থায় দেখি টিউবওয়েল সহ পাশে থাকা ল্যাটটিন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমাদের বসত ভিটা কখন নদী গর্ভে চলে যায় সেই চিন্তায় অস্থির আছি। ইতি মধ্যে তার ৩ বিঘা জমি নদী গর্ভে। পাট, ধান, সবজির ক্ষেত সহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তার পরিবারে সবাই কান্না আর বিলাপ করতে থাকে আর বলে আমরা এখন কোথায় যাব, আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা করো।

গ্রামবাসীরা জানান, এতো বড় ভয়াবহ রুপ নেওয়ার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রুপ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রশাসনের কোন লোকও আমাদের এই নাজুক অবস্থা পরির্দশন করতে আসেনি। একই গ্রামের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আসাদ অভিযোগ করে বলেন, আমরা শুনতে পাড়ি প্রায় আমাদের নদী ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ আসে কিন্তু আমরা পাই না। তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার মত কাজ আসে কে বা কারা সব অর্থই খেয়ে ফেলেছে।

আসাদ আরো জানান, এই গ্রাম হতে সামনের কেশনগর মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ১.৫০ কি:মি: রাস্তার বরাদ্দ সম্পূর্ন অর্থই গ্রাস করেছে। সরজমিনে এখন রাস্তার কোন লেশ মাত্র নেই। নদীর পানি যতই কমছে ততই নদী ভাঙন আরো কঠোর রুপ নিচ্ছে। এ ভাবে চলতে খাকলে গ্রামের সম্পূর্ন অংশই নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা জাগছে। সর্বপরি গ্রাম বাসিরা সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রশাসনের সকল স্তরের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, এ নদী ভাঙন রোধে তারা যেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করে ও অচিরেই যেন এ সমস্যার সমাধান করে।