নিউজ ডেস্ক:
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশসমূহকে অর্থায়ন, উদ্ভাবনী সমাধান ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিশেষ করে পানি বিষয়ক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে আমরা বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত বৃহস্পতিবার ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিযোজন, অবকাঠামোগত অর্থায়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রায়ন’ শিরোনামে জাতিসংঘের পানি ও দুর্যোগ বিষয়ক ৩য় বিশেষ থিমেটিক সেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান সম্প্রদায়কে সকল বাধা অতিক্রম করে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে জ্ঞান, ধারণা ও সর্বোত্তম চর্চার একটি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করার আহ্বানও জানান।
মন্ত্রী বলেন, উচ্চ পর্যায়ের পানি বিষয়ক প্যানেলের ‘কল টু অ্যাকশান অন ওয়াটার’-এর প্রতি বাংলাদেশ সরকার সবর্দাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ও জলোচ্ছাসসহ সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যেকার সম্পর্কের বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতা সৃষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমণ ও পানি বিষয়ক বিশেষ দূত ড. হ্যান সুং-সো এ সেশনে সভাপতিত্ব করেন। হাঙ্গেরির রাষ্ট্রপতি জানোস আদের, মৌরিশাসের রাষ্ট্রপতি আমিনাহ্ গারিব-ফাকিম এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন ইভেন্টটিতে বক্তৃতা দেন।
জাতিসংঘের পানি ও দুর্যোগ বিষয়ক এ থিমেটিক সেশনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনোমিকস ডিভিশনের সদস্য শামসুল আলম ও পিকেএসএফ-এর মহাপরিচালক আব্দুল করিম।