বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের কারণে চট্টগ্রামের মহানগরীতে গণপরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে করে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, পোশাক কারখানার কর্মীসহ সর্বস্তরের নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
যানবাহনের অনিয়ম বন্ধে গতকাল (১৮.০৭.২০১৭) মঙ্গলবার থেকে পাঁচদিনব্যাপী অভিযান শুরু করে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এরপর রাস্তায় সব ধরণের গণপরিবহনের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। বুধবার সকাল থেকে গণপরিবহন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বাস না পেয়ে বিভিন্ন মোড়ে যানবাহনের আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের। বাসে চলতে গিয়ে বিশেষ করে নারী, শিশু ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। বুধবার সকালে বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, জিইসি, লালখান বাজার, দেওয়ান হাট, আগ্রাবাদ মোড় ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন রোডেও একই চিত্র পরিলক্ষিত করা হয়।
এদিকে গণপরিবহন সংকটকে পুঁজি করে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরাও এ সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ট্রাফিক পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল (১৮.০৭.২০১৭) মঙ্গলবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন সড়ক থেকে ২৪৮টি গাড়ি আটক করা হয়েছে। এছাড়া মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৯৯টি যানবাহনের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে পরিবহনখাতের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ২২ জুলাই পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। গাড়ি চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে আমরা কোন ছাড় দেব না। সকল অনিয়ম রোধে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব।’