শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন দাবা ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ Logo মতলব উত্তর সাদুল্লাপুর ও বাগানবাড়ি ইউনিয়নে জাকের পার্টির জনসভা Logo পলাশবাড়ীতে ব্রিজের নিচে মিললো ভাস্যমান মরদেহ Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ও সদর মডেল থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি Logo চাঁদপুরে এমআরপিসি কমিটির দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo “বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫” Logo কয়রায় কসাইদের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত প্লাবিত হচ্ছে নিচু এলাকা গুলো

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার চরাঞ্চলের ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কিছু নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের আরকান্দি থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী পর্যন্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।  সদর উপজেলার বাহুকা নামক স্থানেও থেমে থেমে পাড় ভাঙ্গছে। যমুনার পানি বাড়লেই ভাঙ্গন বাড়ে।  প্রবল ¯্রােতের কারনে নদীতীরের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের আরকান্দি থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী পর্যন্ত বিভিন্ন  এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা জানান, এখনও সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা  ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নেয়নি। এখনও অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সার্বিক খোঁজ-খবর রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও এরই মধ্যে চৌহালী, বেলকুচি, সদর ও কাজিপুরের বন্যা ও ভাঙ্গন এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ত্রাণ বিতরণও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সদরের সয়দাবাদ ও কাজিপুরের শুভগাছায় ৫ শতাধিক পরিবারকে ক্ষয়রাতি ১০ কেজি করে চাল ও নগদ দু’শ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। শাহজাদপুর ভাঙ্গন এলাকাতেও ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে ।  দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় প্লাবিত কৃষি জমির তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। মাঠ পর্যায় থেকে এখনও প্রকৃত হিসেব তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, সরকারী হিসেবে চরাঞ্চলের ২ হাজার পরিবারের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। নতুন করে আরও যে সকল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে সেই সব এলাকার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন দাবা ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত প্লাবিত হচ্ছে নিচু এলাকা গুলো

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার চরাঞ্চলের ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কিছু নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের আরকান্দি থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী পর্যন্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।  সদর উপজেলার বাহুকা নামক স্থানেও থেমে থেমে পাড় ভাঙ্গছে। যমুনার পানি বাড়লেই ভাঙ্গন বাড়ে।  প্রবল ¯্রােতের কারনে নদীতীরের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের আরকান্দি থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী পর্যন্ত বিভিন্ন  এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা জানান, এখনও সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা  ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নেয়নি। এখনও অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সার্বিক খোঁজ-খবর রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি নিজেও এরই মধ্যে চৌহালী, বেলকুচি, সদর ও কাজিপুরের বন্যা ও ভাঙ্গন এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ত্রাণ বিতরণও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সদরের সয়দাবাদ ও কাজিপুরের শুভগাছায় ৫ শতাধিক পরিবারকে ক্ষয়রাতি ১০ কেজি করে চাল ও নগদ দু’শ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। শাহজাদপুর ভাঙ্গন এলাকাতেও ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে ।  দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় প্লাবিত কৃষি জমির তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। মাঠ পর্যায় থেকে এখনও প্রকৃত হিসেব তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, সরকারী হিসেবে চরাঞ্চলের ২ হাজার পরিবারের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। নতুন করে আরও যে সকল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে সেই সব এলাকার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।