নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়া পার্কে ১২ শতাধিক প্রবাসীকে নিয়ে উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষায় সর্বাধিক প্রচারিত ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’র এক ব্যতিক্রমী আনন্দ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে মার্কিন প্রবাসীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখার জন্য ১২ ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা এবং আমেরিকার ২৪১তম স্বাধীনতা বার্ষিকীর আমেজে ঐকের ডাক দেয়া হয়।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট ইস্যুর পরই মূলত মার্কিন মুল্লুকে বাঙালির পদার্পণ ঘটে। সত্তরের দশকে যে কজন বাঙালি নিউইয়র্কে বসতি গড়েন তার অন্যতম ছিলেন ইব্যাহিম চৌধুরী, নূরল হক চুবানী, হাজী মনির, কাজী জাকারিয়া, শেখ ওয়াহিদুর রহমান।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আরো অনেকের সঙ্গে এই প্রবাসীরাও নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহও করেন তারা। এরপর ডা. আসাদ খান, রানী কবীর, ড. আলমগীর, শ্রীচিন্ময়, এনামুল মালিক, রতন বড়ুয়া, শহীদ কাদরীর মত প্রবাসীরা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সংগঠিত করার মধ্যদিয়ে স্বপ্ন পূরণে সচেষ্ট ছিলেন। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি এবং একবিংশ শতাব্দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসতি গড়া বাংলাদেশিদের অনেকেই এসব মহৎ বাঙালির কথা জানেন না।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এস্টোরিয়া পার্কের এ সমাবেশে এম এম শাহীন বলেছেন, ঠিকানা পত্রিকা সামনের দিনগুলোতে প্রবাসীদের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে তার দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে।
২৮ বছরে পা দেয়ায় ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’র আয়োজনে রবিবার এই সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয় এই ‘আনন্দ-সমাবেশ’। সম্প্রীতির আমেজে শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মহিলারাও মেতে উঠেছিলেন নানা আনন্দ-সমাবেশে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি ও সমাজসেবী জহির, ঠিকানা সম্পাদক লাবলু আনসার, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের চেয়ারপার্সন এম এ সালাম, ফোবানার যুগ্ম-মহাসচিব ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার সাবেক সভাপতি এমাদ চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি রাশেদ আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।