নিউজ ডেস্ক:
ব্রেকফাস্ট হোক বা বাচ্চার স্কুলের টিফিন। জ্যাম-পাউরুটি বা মাখন-পাউরুটি ছাড়া চলে না? সাবধান। প্রতিদিন পাউরুটি-প্রেমে বারোটা বাজছে শরীরের। অজান্তে শরীরে মিশছে বিষাক্ত রাসায়নিক। বাড়তে পারে ওজন। থাইরয়েডের সমস্যায় কাবু হতে পারে শরীর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রোজ পাউরুটি খেলে হতে পারে বিপদ। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই বিপদবার্তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সব শস্য থেকে পাউরুটি তৈরি হয়, তা খেলে অনেকসময় পরে অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লবন ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে হজম হতেও অনেক বেশি সময় লাগে। পাউরুটি তৈরির সময় যে ফ্লেভার মেশানো হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
পাউরুটি তৈরির সময় আটা থেকে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ চলে যায়। ফলে, পাউরুটিতে পরিমিত ফাইবার থাকে না। শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইড ও ব্রোমাইন জাতীয় বিষাক্ত যৌগ জমা হয়। প্রতিদিন পাউরুটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কারণ, পাউরুটিতে রয়েছে লবন, রিফাইন্ড চিনি ও বিভিন্ন প্রিজারভেটিভস।
অনেক পাউরুটিতে থাকে পটাসিয়াম ব্রোমেট অথবা পটাসিয়াম আয়োডেট নামের রাসায়নিক। পটাসিয়াম ব্রোমেট ক্লাস ২ কার্সেনোজেনিক বলে চিহ্নিত। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে গেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে। পটাসিয়াম আয়োডেটের প্রভাবে থাইরয়েডের সমস্যাও হতে পারে।
শুধু পাউরুটি নয়, বেশি পিত্জা, বান বা পাও খেলেও এই ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু পাউরুটিতে এই সব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় কেন? পটাসিয়াম ব্রোমেট ব্যবহারে পাউরুটি ফোলে বেশি। পটাসিয়াম আয়োডেটের প্রভাবে পাউরুটির ময়দা বেক করার উপযোগী হয়ে ওঠে। পাউরুটিকে ধবধবে সাদা করার জন্য ব্লিচ করা হয়। এই পদ্ধতিও শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। তাই, পাউরুটি খেতে হবে বুঝেশুনে। প্রতিদিন নয় পাউরুটি। শরীর সুস্থ রাখতে কম খান পাউরুটি।