শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

মামলার তথ্য পেতে আর হয়রানি নয়!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের সব আদালতের বিচারিক তথ্য এক ঠিকানায় পেতে ‘বিচার বিভাগীয় বাতায়ন’ ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন। এই ওয়েবসাইটের ফলে মামলার তথ্য পেতে আর হয়রানি পেতে হবে না।

এখন থেকে www.judiciary.org.bd এই ওয়েবসাইটে বিচার বিভাগীয় যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এ বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বাতায়নটিতে বাংলা ও ইংরেজিতে তথ্য পাওয়া যাবে। এই বাতায়ন থেকে জানা যাবে, যাবতীয় বিচারিক তথ্য, অলাইন বিচারিক সেবা, আদালত দিনপঞ্জিকা, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, কোন আদালতে কোন মামলা করা যাবে, মামলার মূল্যায়ন, নারী ও শিশু সংক্রান্ত মামলার তথ্য এবং মামলার কার্যপদ্ধতি।

এতে আরও থাকবে, মামলার কার্যতালিকা, কোর্ট ফির তথ্য, অনুলিপি সেবা, লিগ্যাল এইড, ফরম,ই-ডিরেক্টরি, আইন ও মানবাধিকার, এবং বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের তথ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মামলা ব্যবস্থাপনায় সংস্কার এবং দক্ষ সেবাদানের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। সফ্টওয়্যারের সহায়তায় কোনো মামলার তথ্য এখন সার্চ কমান্ড দিয়ে বের করা সম্ভব।’

বিচার ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের পথে এরইমধ্যে আমরা কিছু এগিয়েও গিয়েছি উল্লেখ করে এসকে সিনহা বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং এ টু আই এর যৌথ উদ্যোগে বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বিচার বিভাগের জন্য মনিটরিং ড্যাস বোর্ড তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ই-কোর্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেকর্ড ধারণ ও সংরক্ষণ, জেলা ভিত্তিক ও কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা চালু, দেশের বিচার ব্যবস্থায় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রচলন এবং বিচারিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার তিন বছর মেয়াদি ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে বহুদূর এগিয়েছে।’

বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, এ টু আই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

মামলার তথ্য পেতে আর হয়রানি নয়!

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

দেশের সব আদালতের বিচারিক তথ্য এক ঠিকানায় পেতে ‘বিচার বিভাগীয় বাতায়ন’ ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন। এই ওয়েবসাইটের ফলে মামলার তথ্য পেতে আর হয়রানি পেতে হবে না।

এখন থেকে www.judiciary.org.bd এই ওয়েবসাইটে বিচার বিভাগীয় যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এ বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বাতায়নটিতে বাংলা ও ইংরেজিতে তথ্য পাওয়া যাবে। এই বাতায়ন থেকে জানা যাবে, যাবতীয় বিচারিক তথ্য, অলাইন বিচারিক সেবা, আদালত দিনপঞ্জিকা, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, কোন আদালতে কোন মামলা করা যাবে, মামলার মূল্যায়ন, নারী ও শিশু সংক্রান্ত মামলার তথ্য এবং মামলার কার্যপদ্ধতি।

এতে আরও থাকবে, মামলার কার্যতালিকা, কোর্ট ফির তথ্য, অনুলিপি সেবা, লিগ্যাল এইড, ফরম,ই-ডিরেক্টরি, আইন ও মানবাধিকার, এবং বার কাউন্সিলের আইনজীবীদের তথ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মামলা ব্যবস্থাপনায় সংস্কার এবং দক্ষ সেবাদানের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। সফ্টওয়্যারের সহায়তায় কোনো মামলার তথ্য এখন সার্চ কমান্ড দিয়ে বের করা সম্ভব।’

বিচার ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের পথে এরইমধ্যে আমরা কিছু এগিয়েও গিয়েছি উল্লেখ করে এসকে সিনহা বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং এ টু আই এর যৌথ উদ্যোগে বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বিচার বিভাগের জন্য মনিটরিং ড্যাস বোর্ড তৈরি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ই-কোর্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেকর্ড ধারণ ও সংরক্ষণ, জেলা ভিত্তিক ও কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা চালু, দেশের বিচার ব্যবস্থায় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রচলন এবং বিচারিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার তিন বছর মেয়াদি ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে বহুদূর এগিয়েছে।’

বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, এ টু আই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।