শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলতে পারছি না: বিজিএমইএ সভাপতি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলে মনে করছেন না তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা যা দেখছি তাতে এই বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলতে পারছি না। তবে এখনো অনেক সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে অর্থমন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি রক্ষা করেন, তখন বলতে পারব, এই বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব।

গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ সম্মেলনকক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের করপোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া এ শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইউরোর দরপতন, বেক্সিট ও গ্যাস সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এই খাতে উৎপাদন ব্যয় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তাই আগামী দুই বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার করতে হবে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য সব নীতি কৌশল পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আমরা আশানুরূপ ফল পায়নি। গত ১০ মাসে নতুন বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর এই প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল। এক্ষেত্রে নতুন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নান কোচি, ফারুক হাসান, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলতে পারছি না: বিজিএমইএ সভাপতি !

আপডেট সময় : ১১:৩০:০১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলে মনে করছেন না তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা যা দেখছি তাতে এই বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলতে পারছি না। তবে এখনো অনেক সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে অর্থমন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি রক্ষা করেন, তখন বলতে পারব, এই বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব।

গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ সম্মেলনকক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের করপোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া এ শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইউরোর দরপতন, বেক্সিট ও গ্যাস সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এই খাতে উৎপাদন ব্যয় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তাই আগামী দুই বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার করতে হবে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য সব নীতি কৌশল পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আমরা আশানুরূপ ফল পায়নি। গত ১০ মাসে নতুন বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর এই প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল। এক্ষেত্রে নতুন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নান কোচি, ফারুক হাসান, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রমুখ।