শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

বিচ্ছেদের শূন্যতা কাটাবেন যেভাবে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুন ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সম্পর্ক ভেঙে গেলে জীবনের মানেটাই যেন বদলে যায়। হঠাৎ করে আসা এই শূন্যতার সঙ্গে মানিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয় সবাইকেই। রাতের পর রাত জেগে কাটানো, নিঃসঙ্গ কান্না, সিনেমায় ডুবে থাকা, দুঃখের গান শোনা, মন ভাল করতে আইসক্রিম খাওয়া, এ সব কিছু করেও সেই শূন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না আমরা। বন্ধুদের নিজের দুঃখের গল্প শুনিয়ে কিছুটা সময় শান্তি পেলেও বার বার সেই বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হয়। প্রাক্তনকে ভুলতে অন্য কারও সঙ্গে সাময়িক সম্পর্কে জড়ালেও ভোলা যে যায় না, তা বুঝতে পারি নিজেরাও।

কেন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এত কঠিন? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাঙা সম্পর্কের ঘোর কাটিয়ে ওঠার উপায় একটাই। বিশ্বাস। নিজে বিশ্বাস করতে হবে, আপনি ভাল থাকতে পারবেন। হতাশা, শূন্যতা কেটে আপনার মন ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠছে, এই বিশ্বাস জাগাতে হবে মনে।

গবেষণার মূল বিষয় ব্যাখ্যা করার আগে নিজেদের কিছু প্রশ্ন করতে বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা। কেন বলুন তো এই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে চলি, অথচ পারি না? কারণ আমরা বার বার আসলে নিজেদের বলতে থাকি, পারব না। সম্ভব না। ল্যাপটপের সামনে বসে কাটানো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসলে আমরা তাকেই ভেবে চলি। মনে হয় তাকে ফিরে পেলেই আবার সব কিছু আগের তো হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব কলরাডোর গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের দুটো দলে ভাগ করেন। প্রাক্তনের ছবি দেখিয়ে তাদের বিচ্ছেদের কথা মনে করতে বলা হয়। এর পর তাদের প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হয় একটা করে ন্যাজাল স্প্রে। একটি দলকে বলা হয় এই স্প্রে তাদের মন ভাল করতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় দলতে বলা হয় এটা নেহাতই সাধারণ ন্যাজাল স্প্রে। গবেষণার পর দেখা যায়, যাদের বলা হয়েছিল এই স্প্রে মন ভাল করতে সাহায্য করবে, তারা সত্যিই তুলনামূলক ভাল বোধ করছেন।

ফলাফল ব্যাখ্যা করে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার মুখ্য গবেষক লিওনি কোবান বলেন, প্রত্যাশা ও অনুমান আমাদের অভিজ্ঞতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। ভাবনা আমাদের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই কোনও কিছু যদি আমরা ভাল করছি বা ভাল ফল পাব বিশ্বাস করে করি, তা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা করার পর ভাল বোধ করি। দুঃখ কাটিয়ে ওঠাও সেই রকমই। বিশ্বাস করতে হবে আমরা ভাল থাকব। তা হলেই ভাল থাকব।

সূত্র: আজকাল

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

বিচ্ছেদের শূন্যতা কাটাবেন যেভাবে !

আপডেট সময় : ১১:৪৬:২১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সম্পর্ক ভেঙে গেলে জীবনের মানেটাই যেন বদলে যায়। হঠাৎ করে আসা এই শূন্যতার সঙ্গে মানিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয় সবাইকেই। রাতের পর রাত জেগে কাটানো, নিঃসঙ্গ কান্না, সিনেমায় ডুবে থাকা, দুঃখের গান শোনা, মন ভাল করতে আইসক্রিম খাওয়া, এ সব কিছু করেও সেই শূন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না আমরা। বন্ধুদের নিজের দুঃখের গল্প শুনিয়ে কিছুটা সময় শান্তি পেলেও বার বার সেই বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হয়। প্রাক্তনকে ভুলতে অন্য কারও সঙ্গে সাময়িক সম্পর্কে জড়ালেও ভোলা যে যায় না, তা বুঝতে পারি নিজেরাও।

কেন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এত কঠিন? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাঙা সম্পর্কের ঘোর কাটিয়ে ওঠার উপায় একটাই। বিশ্বাস। নিজে বিশ্বাস করতে হবে, আপনি ভাল থাকতে পারবেন। হতাশা, শূন্যতা কেটে আপনার মন ধীরে ধীরে ভাল হয়ে উঠছে, এই বিশ্বাস জাগাতে হবে মনে।

গবেষণার মূল বিষয় ব্যাখ্যা করার আগে নিজেদের কিছু প্রশ্ন করতে বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা। কেন বলুন তো এই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে চলি, অথচ পারি না? কারণ আমরা বার বার আসলে নিজেদের বলতে থাকি, পারব না। সম্ভব না। ল্যাপটপের সামনে বসে কাটানো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসলে আমরা তাকেই ভেবে চলি। মনে হয় তাকে ফিরে পেলেই আবার সব কিছু আগের তো হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটি অব কলরাডোর গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের দুটো দলে ভাগ করেন। প্রাক্তনের ছবি দেখিয়ে তাদের বিচ্ছেদের কথা মনে করতে বলা হয়। এর পর তাদের প্রত্যেকের হাতে দেওয়া হয় একটা করে ন্যাজাল স্প্রে। একটি দলকে বলা হয় এই স্প্রে তাদের মন ভাল করতে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় দলতে বলা হয় এটা নেহাতই সাধারণ ন্যাজাল স্প্রে। গবেষণার পর দেখা যায়, যাদের বলা হয়েছিল এই স্প্রে মন ভাল করতে সাহায্য করবে, তারা সত্যিই তুলনামূলক ভাল বোধ করছেন।

ফলাফল ব্যাখ্যা করে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার মুখ্য গবেষক লিওনি কোবান বলেন, প্রত্যাশা ও অনুমান আমাদের অভিজ্ঞতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। ভাবনা আমাদের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে। তাই কোনও কিছু যদি আমরা ভাল করছি বা ভাল ফল পাব বিশ্বাস করে করি, তা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা করার পর ভাল বোধ করি। দুঃখ কাটিয়ে ওঠাও সেই রকমই। বিশ্বাস করতে হবে আমরা ভাল থাকব। তা হলেই ভাল থাকব।

সূত্র: আজকাল