শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

শৈলকুপার কৃষকরা রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে ঝুঁকছে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  তৃণমুল পর্যায়ের কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে কারণে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাচ্ছে কৃষক। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকছে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় করছে ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। যার মাধ্যমে সময় ও খরচ দুই’ই কমেছে। কৃষি বিভাগ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহারে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার গোসাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিটুল জানান, কয়েক বছর আগেও তার ৫ বিঘা জমিতে ধানের বীজতলা দেওয়া ও ধান লাগাতে খরচ হতো কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া নিজের দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই। গত ২ বছর হলো কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে ৫ বিঘা জমির ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। পরিচর্যা করছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। এতে নিজের সময়ের সাশ্রয়ের সাথে সাথে খরচও হচ্ছে কম। সুবিধা পাওয়ায় তার দেখা দেখি ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে ধানের আবাদ।

এছাড়া এই পদ্ধতিতে ধান লাগানোর ফলে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই খুশি ওই এলাকার কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতার মাধ্যমে এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ধানের ফলন। সেজন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান সারুটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ব্লকে বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষক নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বা মাঠে ট্রে ও পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগি হয়।

এক বিঘা জমিতে পুর্বে ৪ জন শ্রমিক লাগতো। কিন্তু বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ধান লাগাতে পারে মাত্র একজন শ্রমিক। যেখানে এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা, এ মেশিন ব্যবহারে প্রতি একরে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই পরিবেশ বান্ধব এ মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। এ মেশিন সরকারের কাছ থেকে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেও ক্রয় করতে পারবেন। ভর্তুকির মাধ্যমে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিন ব্যবহারে তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ধান চাষে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটিই মনে করেন সচেতন মহল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

শৈলকুপার কৃষকরা রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে ঝুঁকছে

আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  তৃণমুল পর্যায়ের কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে কারণে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাচ্ছে কৃষক। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকছে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় করছে ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। যার মাধ্যমে সময় ও খরচ দুই’ই কমেছে। কৃষি বিভাগ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহারে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার গোসাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিটুল জানান, কয়েক বছর আগেও তার ৫ বিঘা জমিতে ধানের বীজতলা দেওয়া ও ধান লাগাতে খরচ হতো কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া নিজের দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই। গত ২ বছর হলো কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে ৫ বিঘা জমির ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। পরিচর্যা করছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। এতে নিজের সময়ের সাশ্রয়ের সাথে সাথে খরচও হচ্ছে কম। সুবিধা পাওয়ায় তার দেখা দেখি ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে ধানের আবাদ।

এছাড়া এই পদ্ধতিতে ধান লাগানোর ফলে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই খুশি ওই এলাকার কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতার মাধ্যমে এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ধানের ফলন। সেজন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান সারুটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ব্লকে বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষক নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বা মাঠে ট্রে ও পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগি হয়।

এক বিঘা জমিতে পুর্বে ৪ জন শ্রমিক লাগতো। কিন্তু বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ধান লাগাতে পারে মাত্র একজন শ্রমিক। যেখানে এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা, এ মেশিন ব্যবহারে প্রতি একরে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই পরিবেশ বান্ধব এ মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। এ মেশিন সরকারের কাছ থেকে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেও ক্রয় করতে পারবেন। ভর্তুকির মাধ্যমে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিন ব্যবহারে তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ধান চাষে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটিই মনে করেন সচেতন মহল।