শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ভারতকে কটাক্ষ চীনা প্রেসিডেন্টের !

  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৪ মে ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বেইজিং–এ ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা ওবিওআর প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এর পরে সব দেশকেই পরস্পরের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা মানতে হবে। পরস্পরকে সম্মান করতে হবে। পারস্পরিক উন্নয়ন, সামাজিক ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। এর ফলে এই ২৯টি দেশে বাণিজ্যে বিশাল উন্নতি ঘটবে। খোলা অর্থনীতির প্রসার ঘটবে। এমনটাই প্রত্যাশা শি জিংপিং–র।

বেইজিং–র এই সম্মেলন বয়কট করেছে দিল্লি। কারণ, ওবিওআর প্রকল্পের একটি অংশ চীন–পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর বা সিপিইসি। যা গিয়েছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই তীব্র আপত্তি দিল্লির।

দিল্লির বক্তব্য,পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও ভারতেরই অংশ। তাই দিল্লির অনুমতি ছাড়া সেখান দিয়ে এই রাস্তা নিয়ে যাওয়া ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকেই অস্বীকার করা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবারই এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মহলও ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত। এধরনের যেকোনও যোগাযোগ ব্যবস্থাই আন্তর্জাতিক আইন, কূটনৈতিক এবং সামাজিক নিয়ম মেনে হওয়া উচিত। এধরনের উদ্যোগে সবসময়ই স্বচ্ছতা এবং সাম্যতা থাকা কাম্য। অন্য দেশের উপর কোনও অর্থনৈতিক বোঝা চাপে, বা সেই দেশের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়। কোনও দেশই তাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার অস্বীকার মানতে পারে না।

এদিন জিনপিং বলেন, ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মীতব্য সিপিইসি, আসলে শান্তির রাস্তা। এই রাস্তা চীনের সঙ্গে এশিয়া, ইওরোপ এবং আফ্রিকাকে এক সুতোয় যুক্ত করবে। যদিও পশ্চিমী রাষ্ট্রের একাংশ মনে করছে, এই প্রকল্প আসলে আন্তর্জাতিক স্তরে চীনের নিজস্ব প্রভাব বাড়ানোরই নামান্তর।

কিন্তু চীনা প্রেসিডেন্টের দাবি, একটা বড় পরিবারের সদস্যরা যেমন সবাই একসঙ্গে সুখে–শান্তিতে বাস করে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত হল তারাও সেই পরিবারের অংশ হবে। ওবিওআর প্রকল্পের আওতায় নতুন সিল্ক রুট তৈরি করতে চায় বেইজিং। এজন্য ১৪.‌৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে সিল্ক রুট ফান্ড থেকে।

সম্মেলনে ভারতের অনুপস্থিতিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি চীনা প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে জিংপিং–র কটাক্ষ, ভারত আসলে পশ্চিমী দেশগুলির চালু করা ব্যবস্থাতেই স্বচ্ছন্দ্য। চীনের আরও কটাক্ষ, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই উত্থানকে অবহেলা করতে চাইছে ভারত।

তবে যোগাযোগের এই উদ্যোগ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় বসার জন্য চীনকে আহ্বান জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের প্রবেশাধিকারে বাধা দিয়েছে চীন। তারপরই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ক্ষেত্রে টানাপোড়েন চলছে।
সূত্র: আজকাল

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল

ভারতকে কটাক্ষ চীনা প্রেসিডেন্টের !

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৪ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বেইজিং–এ ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা ওবিওআর প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এর পরে সব দেশকেই পরস্পরের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা মানতে হবে। পরস্পরকে সম্মান করতে হবে। পারস্পরিক উন্নয়ন, সামাজিক ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। এর ফলে এই ২৯টি দেশে বাণিজ্যে বিশাল উন্নতি ঘটবে। খোলা অর্থনীতির প্রসার ঘটবে। এমনটাই প্রত্যাশা শি জিংপিং–র।

বেইজিং–র এই সম্মেলন বয়কট করেছে দিল্লি। কারণ, ওবিওআর প্রকল্পের একটি অংশ চীন–পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর বা সিপিইসি। যা গিয়েছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই তীব্র আপত্তি দিল্লির।

দিল্লির বক্তব্য,পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও ভারতেরই অংশ। তাই দিল্লির অনুমতি ছাড়া সেখান দিয়ে এই রাস্তা নিয়ে যাওয়া ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকেই অস্বীকার করা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবারই এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মহলও ভারতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত। এধরনের যেকোনও যোগাযোগ ব্যবস্থাই আন্তর্জাতিক আইন, কূটনৈতিক এবং সামাজিক নিয়ম মেনে হওয়া উচিত। এধরনের উদ্যোগে সবসময়ই স্বচ্ছতা এবং সাম্যতা থাকা কাম্য। অন্য দেশের উপর কোনও অর্থনৈতিক বোঝা চাপে, বা সেই দেশের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়। কোনও দেশই তাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার অস্বীকার মানতে পারে না।

এদিন জিনপিং বলেন, ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মীতব্য সিপিইসি, আসলে শান্তির রাস্তা। এই রাস্তা চীনের সঙ্গে এশিয়া, ইওরোপ এবং আফ্রিকাকে এক সুতোয় যুক্ত করবে। যদিও পশ্চিমী রাষ্ট্রের একাংশ মনে করছে, এই প্রকল্প আসলে আন্তর্জাতিক স্তরে চীনের নিজস্ব প্রভাব বাড়ানোরই নামান্তর।

কিন্তু চীনা প্রেসিডেন্টের দাবি, একটা বড় পরিবারের সদস্যরা যেমন সবাই একসঙ্গে সুখে–শান্তিতে বাস করে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত হল তারাও সেই পরিবারের অংশ হবে। ওবিওআর প্রকল্পের আওতায় নতুন সিল্ক রুট তৈরি করতে চায় বেইজিং। এজন্য ১৪.‌৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে সিল্ক রুট ফান্ড থেকে।

সম্মেলনে ভারতের অনুপস্থিতিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি চীনা প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে জিংপিং–র কটাক্ষ, ভারত আসলে পশ্চিমী দেশগুলির চালু করা ব্যবস্থাতেই স্বচ্ছন্দ্য। চীনের আরও কটাক্ষ, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই উত্থানকে অবহেলা করতে চাইছে ভারত।

তবে যোগাযোগের এই উদ্যোগ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় বসার জন্য চীনকে আহ্বান জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের প্রবেশাধিকারে বাধা দিয়েছে চীন। তারপরই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ক্ষেত্রে টানাপোড়েন চলছে।
সূত্র: আজকাল