সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব

বাজারে নতুন পেঁয়াজ, ফলন ও দামে খুশি মাগুরার কৃষক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাগুরা জেলার চার উপজেলার কৃষকই এখন খেত থেকে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।  হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ।  দামও ভাল। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আশাব্যঞ্জক ফলনে মাগুরার কৃষকরা খুবই সন্তুষ্ট।

আলাপকালে জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের কৃষক  আবুল মিয়া জানালেন, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে তাহেরপুরি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবাদকৃত জমি থেকে প্রায় ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি। বর্তমানে খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মেছেরউদ্দিন শেখ বললেন, তিনি এ বছর প্রায় তিন বিঘা জমিতে বারি-১ জাতসহ স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবাদ করা জমি থেকে তিনি প্রায় ১৫০ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৭ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর, মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

চলতি মৌসুমে  স্থানীয় জাতের পাশপাশি আবাদকৃত শতকরা ৮৫ ভাগ জমিতেই উন্নত জাতের বারি-১ (তাহেরপুরি) পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আর বাকি ১৫ ভাগ জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতসহ স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিমণ ভাল মানের পেঁয়াজ ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ফড়িয়ারা।

শ্রীপুরের লাঙ্গলবান্দ এলাকার কৃষক আলী আশরাফ জানান, পেঁয়াজের ফলন ভাল। বাজারও চড়া। এতে এলাকার পেঁয়াজ চাষিরা অত্যন্ত খুশি।

মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কৃষকরা বারি উদ্ভাবিত জাতের পেঁয়াজ মাঠ পর্যায়ে লাগাতে শুরু করেছেন। স্থানীয় জাতের পাশপাশি বারি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের পেঁয়াজের আবাদ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে আগামীতে দেশে  পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবেলা সম্ভব হবে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা  বলেন, ‘প্রাকৃতিক কোন প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হলে, আবহাওয়া ভালো থাকলে,  কৃষকরা তাদের মাঠের সম্পূর্ণ পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারলে এ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষিরা দারুণভাবে লাভবান হবেন ।

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

বাজারে নতুন পেঁয়াজ, ফলন ও দামে খুশি মাগুরার কৃষক !

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাগুরা জেলার চার উপজেলার কৃষকই এখন খেত থেকে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।  হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ।  দামও ভাল। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আশাব্যঞ্জক ফলনে মাগুরার কৃষকরা খুবই সন্তুষ্ট।

আলাপকালে জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের কৃষক  আবুল মিয়া জানালেন, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে তাহেরপুরি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবাদকৃত জমি থেকে প্রায় ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি। বর্তমানে খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।

সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মেছেরউদ্দিন শেখ বললেন, তিনি এ বছর প্রায় তিন বিঘা জমিতে বারি-১ জাতসহ স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবাদ করা জমি থেকে তিনি প্রায় ১৫০ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৭ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর, মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।

চলতি মৌসুমে  স্থানীয় জাতের পাশপাশি আবাদকৃত শতকরা ৮৫ ভাগ জমিতেই উন্নত জাতের বারি-১ (তাহেরপুরি) পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আর বাকি ১৫ ভাগ জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতসহ স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিমণ ভাল মানের পেঁয়াজ ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ফড়িয়ারা।

শ্রীপুরের লাঙ্গলবান্দ এলাকার কৃষক আলী আশরাফ জানান, পেঁয়াজের ফলন ভাল। বাজারও চড়া। এতে এলাকার পেঁয়াজ চাষিরা অত্যন্ত খুশি।

মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে কৃষকরা বারি উদ্ভাবিত জাতের পেঁয়াজ মাঠ পর্যায়ে লাগাতে শুরু করেছেন। স্থানীয় জাতের পাশপাশি বারি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের পেঁয়াজের আবাদ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে আগামীতে দেশে  পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবেলা সম্ভব হবে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা  বলেন, ‘প্রাকৃতিক কোন প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হলে, আবহাওয়া ভালো থাকলে,  কৃষকরা তাদের মাঠের সম্পূর্ণ পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারলে এ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষিরা দারুণভাবে লাভবান হবেন ।