শিরোনাম :
Logo নতুন বাংলাদেশে অধ্যাপকদের ভূমিকা Logo বিশ্বরাজনীতির নয়া ‘অবতার’ Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্য উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজন Logo জাবিতে আন্ত:বিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ইতিহাস বিভাগ Logo শেরপুর সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত Logo জমকালো আয়োজনে কচুয়ায় ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমীতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo আল-আমিন মডেল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের মিলাদ ও দোয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর শহর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রাখতে হবে Logo তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী বিতরণ

নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে নতুন চিন্তা করতে হবে !

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ৮ লাখ রেজিস্টার্ড ব্যবসায়ীর  মধ্যে ভ্যাট দেন মাত্র ৩০ হাজার। এটা শুনতে খারাপ লাগে। বলতেও লজ্জা লাগে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে নতুন মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাতলুব আহমাদ বলেন, আমরা সবাই চাই ৮ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যবসায়ীর ৮ লাখই ভ্যাট দেবেন। সমস্যা কোথায়, সে সমস্যা সমাধানে ভ্যাট অনলাইন করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এনবিআরের কাছে ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা দেনা। বছরের পর বছর মামলা চলছে। এটার সমাধান হওয়ার দরকার। কারণ, এটা ক্যান্সারের মতো ব্যবসায়ীদের মাথার ওপর বসে আছে। যদি মওকুফ করে দেয়া যায় বা একটা নির্দিষ্ট সময় দেয়া যায় তাহলে কিছুটা হলেও তার সমাধান হবে। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় সম্পূরক শুল্কের জায়গায় অন্য কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবার অনুরোধ করেন তিনি।

সেবা খাতে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী, চিকিৎসক ও এই ধরনের সেবা খাতের লোকজন কোনো পণ্য সরবরাহ করেন না। এরা মেধা ও শ্রম ব্যয় করছেন। তাই এসব সেবা খাতে ভ্যাট কমানো জরুরি। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা না হলে বিদেশি বিনিয়োগ এ দেশে আসবে না।

মাতলুব আহমাদ আরো বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনে এনবিআর হয়রানি সরিয়ে দিচ্ছে। বারবার আমরা বলছি ১ টাকা কর দিতে গিয়ে ৩ টাকার হয়রানির শিকার হতে হয়। নতুন ভ্যাট অনলাইন চালু হলে সেখান থেকে মুক্তি পাবো।

তিনি আরো বলেন, ‘ভ্যাট অনলাইন সফল করতে হলে ব্যবসায়ীদের লাগবে। এ আইন আমাদের কাছে যত স্পষ্ট, তত সুবিধা হবে। এ আইনের যেসব বিষয় স্পষ্ট নয় তা স্পষ্ট করা দরকার। টার্নওভার সীমা দেড় কোটি করা দরকার। বন্দরে আমরা যে এটিভি (অগ্রিম ব্যবসায়ী ভ্যাট) দিতাম তা ফেরত পেতাম না।’ সেটা এ আইনে ফেরত পাব বলে জানান তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআরের ভ্যাট থেকে শুরু করে সব আইন ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং শিল্পবান্ধব। এর আওতায় রাজস্ব আহরিত হবে। ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন বাংলাদেশে অধ্যাপকদের ভূমিকা

নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে নতুন চিন্তা করতে হবে !

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ৮ লাখ রেজিস্টার্ড ব্যবসায়ীর  মধ্যে ভ্যাট দেন মাত্র ৩০ হাজার। এটা শুনতে খারাপ লাগে। বলতেও লজ্জা লাগে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে নতুন মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাতলুব আহমাদ বলেন, আমরা সবাই চাই ৮ লাখ রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যবসায়ীর ৮ লাখই ভ্যাট দেবেন। সমস্যা কোথায়, সে সমস্যা সমাধানে ভ্যাট অনলাইন করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এনবিআরের কাছে ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা দেনা। বছরের পর বছর মামলা চলছে। এটার সমাধান হওয়ার দরকার। কারণ, এটা ক্যান্সারের মতো ব্যবসায়ীদের মাথার ওপর বসে আছে। যদি মওকুফ করে দেয়া যায় বা একটা নির্দিষ্ট সময় দেয়া যায় তাহলে কিছুটা হলেও তার সমাধান হবে। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় সম্পূরক শুল্কের জায়গায় অন্য কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবার অনুরোধ করেন তিনি।

সেবা খাতে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী, চিকিৎসক ও এই ধরনের সেবা খাতের লোকজন কোনো পণ্য সরবরাহ করেন না। এরা মেধা ও শ্রম ব্যয় করছেন। তাই এসব সেবা খাতে ভ্যাট কমানো জরুরি। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা না হলে বিদেশি বিনিয়োগ এ দেশে আসবে না।

মাতলুব আহমাদ আরো বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনে এনবিআর হয়রানি সরিয়ে দিচ্ছে। বারবার আমরা বলছি ১ টাকা কর দিতে গিয়ে ৩ টাকার হয়রানির শিকার হতে হয়। নতুন ভ্যাট অনলাইন চালু হলে সেখান থেকে মুক্তি পাবো।

তিনি আরো বলেন, ‘ভ্যাট অনলাইন সফল করতে হলে ব্যবসায়ীদের লাগবে। এ আইন আমাদের কাছে যত স্পষ্ট, তত সুবিধা হবে। এ আইনের যেসব বিষয় স্পষ্ট নয় তা স্পষ্ট করা দরকার। টার্নওভার সীমা দেড় কোটি করা দরকার। বন্দরে আমরা যে এটিভি (অগ্রিম ব্যবসায়ী ভ্যাট) দিতাম তা ফেরত পেতাম না।’ সেটা এ আইনে ফেরত পাব বলে জানান তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআরের ভ্যাট থেকে শুরু করে সব আইন ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং শিল্পবান্ধব। এর আওতায় রাজস্ব আহরিত হবে। ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।