শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বন্দর !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি মোকাবিলাই এখন চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি। তিনি বলেন, কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে  ১৫ দশমিক নয় শতাংশ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষকে ২০১৯ সালের মধ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও ২০২১-২০২৯ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করতেই হবে। গত এক বছরে বন্দর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বললেন ।

লিখিত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন কার্গো, ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। ২০১৬ সালে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কার্গো, ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভিড়েছিল ২ হাজার ৭০৯টি। এর বিপরীতে ২০১৬ সালে জাহাজের সংখ্যা ৩০৫টি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৪তে। এতে বেড়ে গেছে কার্গো ও কন্টেইনারের সংখ্যাও। কার্গো, কন্টেইনার ও জাহাজের প্রবৃদ্ধি সামাল দেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাসে ১১টি আরটিজি সংগ্রহের কাজ চূড়ান্ত করেছি। চারটি স্ট্যাডাল কেরিয়ার ও পাঁচটি কন্টেইনার মোভার সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ছ’টি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছি। এখন দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। আমরা উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমেই যন্ত্রপাতি কেনার পক্ষে।

চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, কর্ণফুলী ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ মামলার জন্য আটকে থাকলেও ড্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত দেড় মাইল উজানে ড্রেজিং করতে ডিপিপি হয়েছে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বন্দর !

আপডেট সময় : ০৭:০১:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি মোকাবিলাই এখন চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি। তিনি বলেন, কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে  ১৫ দশমিক নয় শতাংশ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষকে ২০১৯ সালের মধ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও ২০২১-২০২৯ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করতেই হবে। গত এক বছরে বন্দর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বললেন ।

লিখিত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন কার্গো, ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। ২০১৬ সালে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কার্গো, ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভিড়েছিল ২ হাজার ৭০৯টি। এর বিপরীতে ২০১৬ সালে জাহাজের সংখ্যা ৩০৫টি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৪তে। এতে বেড়ে গেছে কার্গো ও কন্টেইনারের সংখ্যাও। কার্গো, কন্টেইনার ও জাহাজের প্রবৃদ্ধি সামাল দেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাসে ১১টি আরটিজি সংগ্রহের কাজ চূড়ান্ত করেছি। চারটি স্ট্যাডাল কেরিয়ার ও পাঁচটি কন্টেইনার মোভার সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ছ’টি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছি। এখন দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। আমরা উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমেই যন্ত্রপাতি কেনার পক্ষে।

চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, কর্ণফুলী ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ মামলার জন্য আটকে থাকলেও ড্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত দেড় মাইল উজানে ড্রেজিং করতে ডিপিপি হয়েছে