শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কৃষিভিত্তিক শিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার নেওয়া উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান বাড়লেও কৃষিখাত এখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জিডিপির শতকরা ১৫ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৫ ভাগ কৃষিখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনিয়র শিল্পসচিব রোববার সকালে রাজধানীর ফারস্ হোটেল অ্যান্ড গ্র্যান্ড রিসোর্টে ‘উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং কৃষক সমবায় সমিতির দক্ষতা বৃদ্ধি শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিওর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান, এপিওর প্রতিনিধি জিসু ইয়ান বক্তব্য রাখেন।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকালে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও নীতি সহায়তার ফলে দেশের কৃষিখাত সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষিপণ্য বিপণন এবং লাগসই প্রযুক্তির প্রসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতির সক্ষমতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা ও বিপণন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কর্মশালার অভিজ্ঞতা এশিয়া ও প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

কৃষিভিত্তিক শিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার !

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার নেওয়া উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান বাড়লেও কৃষিখাত এখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জিডিপির শতকরা ১৫ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৫ ভাগ কৃষিখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনিয়র শিল্পসচিব রোববার সকালে রাজধানীর ফারস্ হোটেল অ্যান্ড গ্র্যান্ড রিসোর্টে ‘উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং কৃষক সমবায় সমিতির দক্ষতা বৃদ্ধি শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিওর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান, এপিওর প্রতিনিধি জিসু ইয়ান বক্তব্য রাখেন।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকালে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও নীতি সহায়তার ফলে দেশের কৃষিখাত সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষিপণ্য বিপণন এবং লাগসই প্রযুক্তির প্রসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতির সক্ষমতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা ও বিপণন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কর্মশালার অভিজ্ঞতা এশিয়া ও প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।