শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

কৃষিভিত্তিক শিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার নেওয়া উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান বাড়লেও কৃষিখাত এখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জিডিপির শতকরা ১৫ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৫ ভাগ কৃষিখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনিয়র শিল্পসচিব রোববার সকালে রাজধানীর ফারস্ হোটেল অ্যান্ড গ্র্যান্ড রিসোর্টে ‘উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং কৃষক সমবায় সমিতির দক্ষতা বৃদ্ধি শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিওর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান, এপিওর প্রতিনিধি জিসু ইয়ান বক্তব্য রাখেন।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকালে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও নীতি সহায়তার ফলে দেশের কৃষিখাত সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষিপণ্য বিপণন এবং লাগসই প্রযুক্তির প্রসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতির সক্ষমতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা ও বিপণন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কর্মশালার অভিজ্ঞতা এশিয়া ও প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

কৃষিভিত্তিক শিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার !

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার নেওয়া উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান বাড়লেও কৃষিখাত এখনো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জিডিপির শতকরা ১৫ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির ৪৫ ভাগ কৃষিখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনিয়র শিল্পসচিব রোববার সকালে রাজধানীর ফারস্ হোটেল অ্যান্ড গ্র্যান্ড রিসোর্টে ‘উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং কৃষক সমবায় সমিতির দক্ষতা বৃদ্ধি শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিওর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এস এম আশরাফুজ্জামান, এপিওর প্রতিনিধি জিসু ইয়ান বক্তব্য রাখেন।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকালে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও নীতি সহায়তার ফলে দেশের কৃষিখাত সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষিপণ্য বিপণন এবং লাগসই প্রযুক্তির প্রসার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক সমবায় সমিতির সক্ষমতার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক উৎপাদনশীলতা ও বিপণন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কর্মশালার অভিজ্ঞতা এশিয়া ও প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।