শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

জীবন যুদ্ধে লড়াই করে ঝিনাইদহে খুশি বেগমের হাঁস পালনে স্বচ্ছলতা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ অভাবের সংসারটা একটু স্বচ্ছলতা, তাতেই খুশি বেগম। এখন স্বপ্ন দেখেন আরেকটু বেশি,তাও হয়তো পূরণ হবে। অভাবের সংসারে বর্তমানে প্রতিদিন আয় হয়, হাতে টাকা থাকে, বেশ ভালো লাগে। হাঁস ও নবগঙ্গা নদীই তার অভাবের সংসারে আলোর ফোয়ারা বলে তিনি জানান। কথা গুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ৪০ বছর বয়সি দরিদ্র গৃহীনি খুশি বেগম।

ঝিনাইদহ নাটাবাড়িয়া গ্রামের খুশি বেগম হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি এখন অসচ্ছল পরিবার, বেকার নারী ও পুরুষদের কাছে দৃষ্টান্ত। তার আর্থিক সাফল্য দেখে অন্যরাও জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বড় হবার স্বপ্ন দেখছেন। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে নিজ উদ্যোগে পরিবারের সহযোগিতায়, এনজিও থেকে লোন নিয়ে মাত্র ১৩০ টি হাঁসের বাচ্চা যার প্রতিটি বাচ্চার মূল্য ২৫ থেকে ২৭ টাকা দরে কিনে শুরু করেন হাঁস পালন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামে নবগঙ্গা নদীর পাড়ে বেগমের বাড়ি।

প্রাথমিক ভাবে নবগঙ্গা নদীর ধারে ছোট্ট পরিসরে হাঁসের খামার শুরু করেন। নদীতে পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার, পানি এবং পরিবেশ ভাল থাকায় হাঁসের বাচ্চা গুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু হাঁস পালনের উপর প্রাথষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষন না থাকলেও শুধু মাত্র গ্রাম্য পশু চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরমর্শ নিয়ে হাঁসের পরিচর্চা করতেন। বাচ্চা গুলো বড় হবার সাথে সাথে সুচিকিৎসা খাদ্য ও সঠিক পরিচর্চার অভাবে ১৫-২০ টি হাঁস মারা যায়।

তার পরও ২য় বারে নতুন করে ৫০টি বাচ্চা যোগ করেন খামারে, এবার তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। হাঁসের খামারটি নদী তীরবর্তী হওয়ার কারণে হাঁস গুলো সকালে খাবার খাওয়ার পর নদীতে চলে যায়। নদী থেকে ছোট মাছ গুগলী সামুক ও পুষ্টিকর শ্যাওলা খেয়ে দুপুরে ফিরে আসে খামারে।

বর্তমানে বেগমের খামারে ১৫০টি হাঁস আছে, তার মধ্যে ১২০টি মুরগী ও ৩০টি মোরগ। ৩ মাস পরিচর্যার পর থেকেই তার খামেরের হাঁস গুলো ডিম দিতে শুরু করে। প্রথম দিকে অনিয়মিত ডিম দিলেও বর্তমানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১১০ টি পর্যন্ত ডিম দিচ্ছে।

প্রতিটি ডিমের বাজার মূল্য ৮/৯টাকা। বেগম জানান এই হাঁস পালনের আগে তাদের দিন কাটত অভাব অনাটনে। হাঁস পালনে এখন পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। সরকারী প্রশিক্ষন পেলে হাঁস পালন করে অভাবকে জয় করতে পারবে বলে জানান তিনি।

খুশি বেগম বলেন, হাঁস পালন করতে তেমন পরিশ্রম হয় না, টাকা ও বেশি ব্যায় হেয় না।করতে হয় না তেমন তদারকি। তিনি ভয় পান হাঁস গুলি হবার। এ ছাড়া হাঁস পালন করে তিনি অর্থিক ভাবে অনেক টা লাভবান হয়েছেন বলে জানান। তাদের গ্রামের অনেকেই এখন হাঁস পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

জীবন যুদ্ধে লড়াই করে ঝিনাইদহে খুশি বেগমের হাঁস পালনে স্বচ্ছলতা

আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ অভাবের সংসারটা একটু স্বচ্ছলতা, তাতেই খুশি বেগম। এখন স্বপ্ন দেখেন আরেকটু বেশি,তাও হয়তো পূরণ হবে। অভাবের সংসারে বর্তমানে প্রতিদিন আয় হয়, হাতে টাকা থাকে, বেশ ভালো লাগে। হাঁস ও নবগঙ্গা নদীই তার অভাবের সংসারে আলোর ফোয়ারা বলে তিনি জানান। কথা গুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ৪০ বছর বয়সি দরিদ্র গৃহীনি খুশি বেগম।

ঝিনাইদহ নাটাবাড়িয়া গ্রামের খুশি বেগম হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি এখন অসচ্ছল পরিবার, বেকার নারী ও পুরুষদের কাছে দৃষ্টান্ত। তার আর্থিক সাফল্য দেখে অন্যরাও জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বড় হবার স্বপ্ন দেখছেন। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে নিজ উদ্যোগে পরিবারের সহযোগিতায়, এনজিও থেকে লোন নিয়ে মাত্র ১৩০ টি হাঁসের বাচ্চা যার প্রতিটি বাচ্চার মূল্য ২৫ থেকে ২৭ টাকা দরে কিনে শুরু করেন হাঁস পালন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামে নবগঙ্গা নদীর পাড়ে বেগমের বাড়ি।

প্রাথমিক ভাবে নবগঙ্গা নদীর ধারে ছোট্ট পরিসরে হাঁসের খামার শুরু করেন। নদীতে পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার, পানি এবং পরিবেশ ভাল থাকায় হাঁসের বাচ্চা গুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু হাঁস পালনের উপর প্রাথষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষন না থাকলেও শুধু মাত্র গ্রাম্য পশু চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরমর্শ নিয়ে হাঁসের পরিচর্চা করতেন। বাচ্চা গুলো বড় হবার সাথে সাথে সুচিকিৎসা খাদ্য ও সঠিক পরিচর্চার অভাবে ১৫-২০ টি হাঁস মারা যায়।

তার পরও ২য় বারে নতুন করে ৫০টি বাচ্চা যোগ করেন খামারে, এবার তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। হাঁসের খামারটি নদী তীরবর্তী হওয়ার কারণে হাঁস গুলো সকালে খাবার খাওয়ার পর নদীতে চলে যায়। নদী থেকে ছোট মাছ গুগলী সামুক ও পুষ্টিকর শ্যাওলা খেয়ে দুপুরে ফিরে আসে খামারে।

বর্তমানে বেগমের খামারে ১৫০টি হাঁস আছে, তার মধ্যে ১২০টি মুরগী ও ৩০টি মোরগ। ৩ মাস পরিচর্যার পর থেকেই তার খামেরের হাঁস গুলো ডিম দিতে শুরু করে। প্রথম দিকে অনিয়মিত ডিম দিলেও বর্তমানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১১০ টি পর্যন্ত ডিম দিচ্ছে।

প্রতিটি ডিমের বাজার মূল্য ৮/৯টাকা। বেগম জানান এই হাঁস পালনের আগে তাদের দিন কাটত অভাব অনাটনে। হাঁস পালনে এখন পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। সরকারী প্রশিক্ষন পেলে হাঁস পালন করে অভাবকে জয় করতে পারবে বলে জানান তিনি।

খুশি বেগম বলেন, হাঁস পালন করতে তেমন পরিশ্রম হয় না, টাকা ও বেশি ব্যায় হেয় না।করতে হয় না তেমন তদারকি। তিনি ভয় পান হাঁস গুলি হবার। এ ছাড়া হাঁস পালন করে তিনি অর্থিক ভাবে অনেক টা লাভবান হয়েছেন বলে জানান। তাদের গ্রামের অনেকেই এখন হাঁস পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।