শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

আতিয়া মহল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ভাড়াটিয়ারা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আতিয়া মহল ভবনটির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়াস্থ জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল এখন বিস্ফোরকমুক্ত করার পর সোমবার বিকেলে ভবনটি ক্রাইম সিন হিসেবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

পুলিশ তালিকা অনুযায়ী আতিয়া মহলের ২৮ পরিবারের মধ্যে এ মালামাল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে। ভাড়াটিয়ারা ভবনটির মালিক এবং পুলিশের উপস্থিতে ঘরে ঢুকে আতকে উঠেন। ভাড়াটিয়াদের অধিকাংশ মালামালই বোমা আর গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবী করছেন মালামাল বুঝে পাওয়া বাসিন্দারা।

চারদিকে বোমা আর গুলির দাগ, গুলির খোসা পড়ে আছে ভবনের বিভিন্ন জায়গায়। অনেক ভাড়াটিয়া অভিযোগ করেছেন তাদের মুল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গেছে। বাসার সব মালামাল ছড়ানো ছিটানো।

আতিয়া মহলের বাসিন্দা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা বেগম অভিযোগ করেছেন, উনার ঘরের সব মালামাল উলট-পালট করে রাখা। সবকিছু বিক্ষিপ্ত অবাস্থায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, তার এক ভরি স্বর্ণ এবং নগদ প্রায় ১৫হাজার মতো টাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপুর্ণ জিনিস খোয়া গেছে।

আতিয়া মহলের বাসিন্দা রবিউল আলম জানান, তার বাসার সবকিছু তছনছ করা তবে তিনি তার মুল্যবান জিনিসপত্র পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ মধ্যরাতে এই আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। ওই রাত থেকে ভবনটি ঘিরে রাখার পর ২৫ মার্চ সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নাম দিয়ে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো। প্রথমে আতিয়া মহলের ৩০টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া ২৮ টি পরিবারের ৭৮ জন সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহতের খবর জানায় সেনাবাহিনী। ২৫ মার্চ আতিয়া মহলের বাইরে বিস্ফোরণে র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

আতিয়া মহল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ভাড়াটিয়ারা !

আপডেট সময় : ১২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আতিয়া মহল ভবনটির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়াস্থ জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল এখন বিস্ফোরকমুক্ত করার পর সোমবার বিকেলে ভবনটি ক্রাইম সিন হিসেবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

পুলিশ তালিকা অনুযায়ী আতিয়া মহলের ২৮ পরিবারের মধ্যে এ মালামাল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করে। ভাড়াটিয়ারা ভবনটির মালিক এবং পুলিশের উপস্থিতে ঘরে ঢুকে আতকে উঠেন। ভাড়াটিয়াদের অধিকাংশ মালামালই বোমা আর গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবী করছেন মালামাল বুঝে পাওয়া বাসিন্দারা।

চারদিকে বোমা আর গুলির দাগ, গুলির খোসা পড়ে আছে ভবনের বিভিন্ন জায়গায়। অনেক ভাড়াটিয়া অভিযোগ করেছেন তাদের মুল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গেছে। বাসার সব মালামাল ছড়ানো ছিটানো।

আতিয়া মহলের বাসিন্দা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা বেগম অভিযোগ করেছেন, উনার ঘরের সব মালামাল উলট-পালট করে রাখা। সবকিছু বিক্ষিপ্ত অবাস্থায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, তার এক ভরি স্বর্ণ এবং নগদ প্রায় ১৫হাজার মতো টাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপুর্ণ জিনিস খোয়া গেছে।

আতিয়া মহলের বাসিন্দা রবিউল আলম জানান, তার বাসার সবকিছু তছনছ করা তবে তিনি তার মুল্যবান জিনিসপত্র পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ মধ্যরাতে এই আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। ওই রাত থেকে ভবনটি ঘিরে রাখার পর ২৫ মার্চ সকাল থেকে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নাম দিয়ে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো। প্রথমে আতিয়া মহলের ৩০টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া ২৮ টি পরিবারের ৭৮ জন সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। পরে শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে চার জঙ্গি নিহতের খবর জানায় সেনাবাহিনী। ২৫ মার্চ আতিয়া মহলের বাইরে বিস্ফোরণে র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হন।