শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

জঙ্গিরা করছে এমএলএম ব্যবসা !

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৪৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার আড়ালে চলছে জঙ্গি কর্মকাণ্ড। পণ্য বিক্রির নামে প্রথমে সখ্যতা, এরপরই এসব সদস্যকে নানা কৌশলে জঙ্গিদলে ভেড়ানো হচ্ছে।

নব্য জেএমবির এ রকম শাখার সন্ধান পেয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘জঙ্গিরা এখন নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিশেষ করে সদস্য সংগ্রহের জন্য। তাদের একটি অংশ এমএলএম ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। যারা নানা কৌশল ব্যবসার আড়ালে লোকজনকে উগ্র মৌলবাদে আকৃষ্ট করছে। তবে এ ধরনের কোম্পানির ব্যাপারে র‌্যাবের দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

র‌্যাব থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে নব্য জেএমবির গ্রেপ্তারকৃত আটজন প্রায় দেড় বছর যাবৎ একত্রিত রয়েছে। তারা নব্য জেএমবির সরোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এর মূল সমন্বয়ক জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী। গ্রুপটি সংগঠনের জন্য সদস্যপদ বৃদ্ধি এবং সংগঠনের বিভিন্ন প্রয়োজন যেমন, সক্রিয় সদস্যদের জন্য বাড়ি ভাড়াসহ অন্য প্রয়োজনের তাগিদে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্য নথিপত্র তৈরি করে। এছাড়াও তারা ফেসবুকে ভাইরাল আকারে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জঙ্গিরা দুই মাস আগে ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি অনলাইন ই-কমার্স জাতীয় এমএলএম কোম্পানি চালু করে। এরই মধ্যে আরও কয়েকটি অনলাইন কোম্পানি চালু করে। কোম্পানিগুলো গ্রেপ্তারকৃত জামাল, নাঈম ও আবছার পরিচালনা করত। আবছারের ডেসটিনিতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি এড়াতে এরা আবার ঘন ঘন কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে। পরে কোম্পানিতে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গ্রাহকদের লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। নির্দিষ্ট পণ্য বা নির্দিষ্ট দোকান থেকে ওষুধ, মনোহারি, তৈসজপত্র, দৈনন্দিন বাজার, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ইত্যাদি ক্রয়ে ৫% থেকে ১০% ছাড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কোম্পানির পণ্যের ওপর ১০% কমিশন দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। রাজি হলে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ছবি, মোবাইল নম্বর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়। গড়ে হৃদ্যতা। এরপরই ফেসবুক আইডি নেয় বা নিজেরা বের করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী পোস্টগুলো প্রেরণ করতে থাকে। এরপরই গ্রাহকদের তথ্য তাদের সংগঠনের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত জঙ্গি সদস্যদের জন্য ভুয়া নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আবু নাঈম মূল ভূমিকা পালন করে। পরে ভুয়া নথিপত্র জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী তাদের গ্রুপের অপর সদস্য কাসেম এবং মোহসিনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে থাকে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তাদের কাছেও তথ্য আছে জঙ্গিরা এখন এমএলএম ব্যবসা করছে। ইতোমধ্যেই তাদের কয়েকটি নামও সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলো নজরদারিতে রয়েছে। অনেকের নামও বেরিয়ে এসেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

জঙ্গিরা করছে এমএলএম ব্যবসা !

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৪৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার আড়ালে চলছে জঙ্গি কর্মকাণ্ড। পণ্য বিক্রির নামে প্রথমে সখ্যতা, এরপরই এসব সদস্যকে নানা কৌশলে জঙ্গিদলে ভেড়ানো হচ্ছে।

নব্য জেএমবির এ রকম শাখার সন্ধান পেয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘জঙ্গিরা এখন নানা কৌশল অবলম্বন করছে। বিশেষ করে সদস্য সংগ্রহের জন্য। তাদের একটি অংশ এমএলএম ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। যারা নানা কৌশল ব্যবসার আড়ালে লোকজনকে উগ্র মৌলবাদে আকৃষ্ট করছে। তবে এ ধরনের কোম্পানির ব্যাপারে র‌্যাবের দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

র‌্যাব থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে নব্য জেএমবির গ্রেপ্তারকৃত আটজন প্রায় দেড় বছর যাবৎ একত্রিত রয়েছে। তারা নব্য জেএমবির সরোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এর মূল সমন্বয়ক জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী। গ্রুপটি সংগঠনের জন্য সদস্যপদ বৃদ্ধি এবং সংগঠনের বিভিন্ন প্রয়োজন যেমন, সক্রিয় সদস্যদের জন্য বাড়ি ভাড়াসহ অন্য প্রয়োজনের তাগিদে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্য নথিপত্র তৈরি করে। এছাড়াও তারা ফেসবুকে ভাইরাল আকারে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জঙ্গিরা দুই মাস আগে ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি অনলাইন ই-কমার্স জাতীয় এমএলএম কোম্পানি চালু করে। এরই মধ্যে আরও কয়েকটি অনলাইন কোম্পানি চালু করে। কোম্পানিগুলো গ্রেপ্তারকৃত জামাল, নাঈম ও আবছার পরিচালনা করত। আবছারের ডেসটিনিতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি এড়াতে এরা আবার ঘন ঘন কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে। পরে কোম্পানিতে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গ্রাহকদের লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। নির্দিষ্ট পণ্য বা নির্দিষ্ট দোকান থেকে ওষুধ, মনোহারি, তৈসজপত্র, দৈনন্দিন বাজার, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ইত্যাদি ক্রয়ে ৫% থেকে ১০% ছাড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কোম্পানির পণ্যের ওপর ১০% কমিশন দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। রাজি হলে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ছবি, মোবাইল নম্বর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়। গড়ে হৃদ্যতা। এরপরই ফেসবুক আইডি নেয় বা নিজেরা বের করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদী পোস্টগুলো প্রেরণ করতে থাকে। এরপরই গ্রাহকদের তথ্য তাদের সংগঠনের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত জঙ্গি সদস্যদের জন্য ভুয়া নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আবু নাঈম মূল ভূমিকা পালন করে। পরে ভুয়া নথিপত্র জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী তাদের গ্রুপের অপর সদস্য কাসেম এবং মোহসিনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে থাকে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তাদের কাছেও তথ্য আছে জঙ্গিরা এখন এমএলএম ব্যবসা করছে। ইতোমধ্যেই তাদের কয়েকটি নামও সংগ্রহ করা হয়েছে। যেগুলো নজরদারিতে রয়েছে। অনেকের নামও বেরিয়ে এসেছে।