তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী এরাসমাস প্রোগ্রামের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ, ঘানা, মলডোভা, জর্জিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত শিক্ষাবিদরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রেক্টরেট কনফারেন্স হলে প্রধান বক্তা হিসেবে অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ “Gaza Conflict: A Dying Declaration of International Law” শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এর আগে অতিথিরা চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর ড. মেভলুট কারাতাশের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রেক্টর কারাতাশ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক একাডেমিক সহযোগিতা জোরদারে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় অতিথিদের অংশগ্রহণ সনদ, উপহারসামগ্রী ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে রেক্টর প্রফেসর মেভলুট কারাতাশ বলেন, “ফিলিস্তিন সমস্যা মানবজাতির বিবেককে নাড়া দেয় এবং এর রয়েছে গভীর ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, আইনি ও সামাজিক তাৎপর্য।” তিনি আরও বলেন, “২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। এটি শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং গণহত্যার রূপ ধারণ করেছে।”
প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে অসংখ্য নিরীহ মানুষ হতাহত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।”
এছাড়াও তিনি সমগ্র বিশ্বকে ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।