বিসিসিতে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে অফিসে তালা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অস্থায়ী ও স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতনসহ কয়েকটি দাবিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। সোমবারের মতো মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন অফিস সময় শুরুর পর পরই কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং থেমে থেমে দাবির স্বপক্ষে নানা শ্লোগান দেয়।

দ্বিতীয় দিন তারা নগর ভবনে প্রবেশর সকল ফটক এবং প্রতিটি অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা সেবা গ্রহীতা কাউকে নগর ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি, আবার নগর ভবনে অবস্থানরত কাউকে বের হতেও দেয়নি।

টানা দুই দিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করায় নগর ভবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নগরবাসী নানা সেবা পেতে নগর ভবনে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এতে তারা চরম ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।

আন্দোলনরত কর নির্ধারক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, স্থায়ী ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বরাদ্দ এবং অস্থায়ী ১ হাজার ৬২৬ জন কর্মচারীর ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।

তাই একই দাবিতে গত সোমবার থেকে আবারো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে না নেবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে তারা হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে গত সোমবার কর্মবিরতির প্রথম দিন দুপুরে অফিস থেকে বের হওয়ার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা তার গাড়ির ৪টি চাকা পাংচার করে দিলে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ কারনে তিনি মঙ্গলবার অফিসে আসেননি। অপরদিকে সিটি মেয়রও অফিসে অনুপস্থিত।

বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের পুরো টাকাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে সকলকে কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবারও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা ৩দিন ৩, ৪ ও ৫ ঘণ্টা কর্মবিরতি করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসে চতুর্থ দিন তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করায় কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিসিতে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে অফিসে তালা !

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অস্থায়ী ও স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতনসহ কয়েকটি দাবিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। সোমবারের মতো মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন অফিস সময় শুরুর পর পরই কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং থেমে থেমে দাবির স্বপক্ষে নানা শ্লোগান দেয়।

দ্বিতীয় দিন তারা নগর ভবনে প্রবেশর সকল ফটক এবং প্রতিটি অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারা সেবা গ্রহীতা কাউকে নগর ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি, আবার নগর ভবনে অবস্থানরত কাউকে বের হতেও দেয়নি।

টানা দুই দিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করায় নগর ভবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নগরবাসী নানা সেবা পেতে নগর ভবনে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এতে তারা চরম ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।

আন্দোলনরত কর নির্ধারক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, স্থায়ী ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বরাদ্দ এবং অস্থায়ী ১ হাজার ৬২৬ জন কর্মচারীর ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।

তাই একই দাবিতে গত সোমবার থেকে আবারো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে না নেবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে তারা হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে গত সোমবার কর্মবিরতির প্রথম দিন দুপুরে অফিস থেকে বের হওয়ার পর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা তার গাড়ির ৪টি চাকা পাংচার করে দিলে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ কারনে তিনি মঙ্গলবার অফিসে আসেননি। অপরদিকে সিটি মেয়রও অফিসে অনুপস্থিত।

বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের পুরো টাকাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে সকলকে কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবারও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা ৩দিন ৩, ৪ ও ৫ ঘণ্টা কর্মবিরতি করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসে চতুর্থ দিন তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করায় কর্তৃপক্ষ।