শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে বিসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

৫৪২জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বরাদ্দ এবং অস্থায়ী ১ হাজার ৬শ ২৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীর ৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার সকাল ১০টায় অফিস সময় শুরুর পর পরই বিসিসি’র বভিন্ন বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকদের বেশীরভাগ কাজ বন্ধ রেখে নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে থেমে থেমে বিক্ষোভ এবং সমাবশে করেন।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নগর ভবনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, “স্থায়ী ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ১ হাজার ৬শ’ ২৬ জন কর্মচারীর ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তারা দির্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবী জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবী মেনে নেয়ার আশ^াস দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “তাই একই দাবীতে গতকাল থেকে আবারো অনির্দিস্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবী মেনে না নেবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিস্টকালের কর্মবিরতি শুরু করায় নগর ভবনে সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন সেবা নিতে আসা সাধারন নাগরিকরা তাদের কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের পুরো টাকাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাধ্যমতো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই এই আন্দোলনের ফলে নগর ভবনের সেবা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে চলমান আন্দোলনের মধ্যে দুপুর ২টায় অফিস থেকে বের হওয়ার পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সংলগ্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে পুলিশ প্রহরায় গন্তব্যে যান তিনি।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে বিক্ষোভ করে বিসিসি’র শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা ৩দিন ৩, ৪ ও ৫ ঘন্টা করে কর্মবিরতি করে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসে চতুর্থ দিন তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করায় কর্তৃপক্ষ।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে বিসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা !

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

৫৪২জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বরাদ্দ এবং অস্থায়ী ১ হাজার ৬শ ২৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীর ৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার সকাল ১০টায় অফিস সময় শুরুর পর পরই বিসিসি’র বভিন্ন বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকদের বেশীরভাগ কাজ বন্ধ রেখে নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে থেমে থেমে বিক্ষোভ এবং সমাবশে করেন।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নগর ভবনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, “স্থায়ী ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫ মাসের বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩২ মাসের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ১ হাজার ৬শ’ ২৬ জন কর্মচারীর ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তারা দির্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবী জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবী মেনে নেয়ার আশ^াস দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “তাই একই দাবীতে গতকাল থেকে আবারো অনির্দিস্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত তাদের দাবী মেনে না নেবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিস্টকালের কর্মবিরতি শুরু করায় নগর ভবনে সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন সেবা নিতে আসা সাধারন নাগরিকরা তাদের কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের পুরো টাকাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাধ্যমতো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই এই আন্দোলনের ফলে নগর ভবনের সেবা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে চলমান আন্দোলনের মধ্যে দুপুর ২টায় অফিস থেকে বের হওয়ার পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সংলগ্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে পুলিশ প্রহরায় গন্তব্যে যান তিনি।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারও বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে বিক্ষোভ করে বিসিসি’র শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা ৩দিন ৩, ৪ ও ৫ ঘন্টা করে কর্মবিরতি করে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। পরে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসে চতুর্থ দিন তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করায় কর্তৃপক্ষ।