শিরোনাম :
Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা

ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফর করছেন, যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে কথিত পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারের জন্য সমর্থন চাইছেন।

ড. ইউনূস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাজ্যের উচিত ‘নৈতিকভাবে’ তার সরকারকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে ‘চুরি হওয়া’ অর্থ খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। এই বেশিরভাগই বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এখনও তার সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হননি জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার সঙ্গে তার সরাসরি কোনও কথা হয়নি। তবে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করবেন, এ বিষয়ে তার ‘কোনও সন্দেহ নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও পরিকল্পনা নেই কিয়ার স্টারমারের। তবে তারা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতেও অস্বীকৃতি জানান।

ইউনূসের বরাতে ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে সহায়তা করছে।

ড. ইউনূস জানান, তার যুক্তরাজ্য সফরের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটেনের কাছ থেকে ‘আরও উদ্দীপনামূলক সমর্থন’ আদায় করা।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছেন।

তার দাবি, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। তিনি সেই অর্থ পুনরুদ্ধার করতে চান।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে ইউনূসের সঙ্গে স্টারমারের বৈঠক প্রত্যাখ্যানের কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

তবে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফর গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তার সরকারের দুর্নীতিবি‌রোধী অবস্থান এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহ মোকাবেলার প্রতিশ্রুতিকে ইঙ্গিত করে। হারিয়ে যাওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পুনরুদ্ধার হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তা উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটাবে। এতে নতুন নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:০১:০৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফর করছেন, যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে কথিত পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারের জন্য সমর্থন চাইছেন।

ড. ইউনূস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাজ্যের উচিত ‘নৈতিকভাবে’ তার সরকারকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে ‘চুরি হওয়া’ অর্থ খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। এই বেশিরভাগই বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এখনও তার সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হননি জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার সঙ্গে তার সরাসরি কোনও কথা হয়নি। তবে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করবেন, এ বিষয়ে তার ‘কোনও সন্দেহ নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও পরিকল্পনা নেই কিয়ার স্টারমারের। তবে তারা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতেও অস্বীকৃতি জানান।

ইউনূসের বরাতে ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে সহায়তা করছে।

ড. ইউনূস জানান, তার যুক্তরাজ্য সফরের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটেনের কাছ থেকে ‘আরও উদ্দীপনামূলক সমর্থন’ আদায় করা।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছেন।

তার দাবি, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। তিনি সেই অর্থ পুনরুদ্ধার করতে চান।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে ইউনূসের সঙ্গে স্টারমারের বৈঠক প্রত্যাখ্যানের কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

তবে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফর গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তার সরকারের দুর্নীতিবি‌রোধী অবস্থান এবং অবৈধ আর্থিক প্রবাহ মোকাবেলার প্রতিশ্রুতিকে ইঙ্গিত করে। হারিয়ে যাওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পুনরুদ্ধার হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তা উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটাবে। এতে নতুন নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে।