সোমবার | ১০ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ Logo খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলায় কয়রা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সমাবেশ  Logo পিরিয়ডে সচেতন থাকতে মানুন নিয়মগুলো Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় আসলো নতুনত্ব Logo ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার সীমান্ত এলাকার ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা Logo ইবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন Logo চাঁদপুরে ফিউচার ইলেকট্রনিক্সের র‍্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার বিতরণ! Logo প্রকাশিত হলো নুরুন্নাহার মুন্নির কাব্যগ্রন্থ ভ্রণফুল Logo বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শ্রমিকের মৃত্যু

প্রক্সিকাণ্ডে ৯ মাসেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় চার শিক্ষার্থীকে প্রক্সি দিয়ে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসার ৯ মাস পেরুলেও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের দাবি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিবেন তারা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমের এক অনুসন্ধানে শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে ভর্তি করানোর খবর উঠে আসে। এ অনুসন্ধানে পৃথক বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হন। অ্যাডমিট কার্ডের ছবি এডিটের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তর। তবে বিষয়টি সামনে আসার ৯ মাস গড়িয়ে গেলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না সে বিষয়ে সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একজন হলেন ফাহিম আল মামুন বর্ণ। তিনি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮২.৬০ স্কোর করে ৪৬তম মেধাস্থান অর্জন করে ভর্তি হন আইন বিভাগে। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০২১৬১২৬ এবং রোল নাম্বার ৫৪১৩৭। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

একই পন্থা অবলম্বন করে ‘সি’ ইউনিটে ৭৯ দশমিক ৭০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হন মো. শোভন। বর্তমানে তিনি ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৯২৯১১২ এবং রোল নাম্বার ৭১১০৬। তিনি রাজশাহীর মতিহার থানার বুধপাড়া গ্রামের মো. গোলাম সারওয়ারের ছেলে। তিনি রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার ভাতিজা।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেহেদী হাসান সনির প্রক্সির মাধ্যমে ৭২ দশমিক ৬৫ নম্বর পেয়ে ১৬তম মেধাস্থান অর্জন করেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৩৩৩১৭০ এবং পরীক্ষার রোল নাম্বার ৯৬১১৫। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। অতিদ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রক্সির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লাখ টাকার বিনিয়মে প্রক্সি দেওয়াতেন প্রক্সির গডফাদার খ্যাত ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাবি প্রশাসন। পরে প্রক্সির সাথে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

প্রক্সিকাণ্ডে ৯ মাসেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় চার শিক্ষার্থীকে প্রক্সি দিয়ে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসার ৯ মাস পেরুলেও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের দাবি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিবেন তারা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমের এক অনুসন্ধানে শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে ভর্তি করানোর খবর উঠে আসে। এ অনুসন্ধানে পৃথক বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হন। অ্যাডমিট কার্ডের ছবি এডিটের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দপ্তর। তবে বিষয়টি সামনে আসার ৯ মাস গড়িয়ে গেলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না সে বিষয়ে সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একজন হলেন ফাহিম আল মামুন বর্ণ। তিনি ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮২.৬০ স্কোর করে ৪৬তম মেধাস্থান অর্জন করে ভর্তি হন আইন বিভাগে। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০২১৬১২৬ এবং রোল নাম্বার ৫৪১৩৭। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

একই পন্থা অবলম্বন করে ‘সি’ ইউনিটে ৭৯ দশমিক ৭০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হন মো. শোভন। বর্তমানে তিনি ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ণরত আছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৯২৯১১২ এবং রোল নাম্বার ৭১১০৬। তিনি রাজশাহীর মতিহার থানার বুধপাড়া গ্রামের মো. গোলাম সারওয়ারের ছেলে। তিনি রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার ভাতিজা।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেহেদী হাসান সনির প্রক্সির মাধ্যমে ৭২ দশমিক ৬৫ নম্বর পেয়ে ১৬তম মেধাস্থান অর্জন করেন। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২১১০৩৩৩১৭০ এবং পরীক্ষার রোল নাম্বার ৯৬১১৫। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ণরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। অতিদ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রক্সির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৩ থেকে ৮ লাখ টাকার বিনিয়মে প্রক্সি দেওয়াতেন প্রক্সির গডফাদার খ্যাত ফোকলোর বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাবি প্রশাসন। পরে প্রক্সির সাথে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।