সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত আজও বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। তবে, আজকে সচিবালয়ে কোনো দর্শনার্থী ঢুকতে পারবে না। গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ফলে সচিবালয়ে আজকে সাংবাদিকদের ঢোকাও নিষেধ করে দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, দুপুর নাগাদ কর্মচারীদের আন্দোলন স্বাভাবিক হয়ে আসলে তখন সাংবাদিক ভেতরে ঢুকতে পারবেন।
সোমবার (২৬ মে) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অনিবার্য কারণবশত আগামী ২৭ মে ২০২৫ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সকল ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ বিপাকে পড়ে যায়। সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা, যা জনসেবায় ব্যাঘাত ঘটায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন পদক্ষেপ নেয় বর্তমান সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ করে আরও কঠোর ও সময়সীমাবদ্ধ শাস্তির বিধান আনা হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
দায়িত্বে অবহেলা, অফিসে বিশৃঙ্খলা বা ক্ষমতার অপব্যবহারজনিত অভিযোগ আর দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে থাকবে না। দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। রোববার (২৫ মে) রাতে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে। চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে এ অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।