শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

আওয়ামী লীগের ‌‌কার্যক্রম ‌নিষিদ্ধ করায় কয়রায় আনন্দ মিছিল

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আজ সোমবার আনন্দ মিছিল করেছে খুলনার কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কয়রা উপজেলা সদরের কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কয়রা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের সময় মিছিল থেকে ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘হৈই হৈই রই রই, আওয়ামী লীগ গেলি কই‘, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মিছিল শেষে কয়রা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিষ্টি বিতরণ করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পরেই আমাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। দীর্ঘ একটি সময় পরে আমাদের সেই দাবি পূরণ হয়েছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত আওয়ামী লীগকে সর্বতোভাবে নিষিদ্ধ কর‍তে হবে। আগামীতেও আওয়ামী লীগের ভূমিকায় যারাই অবতীর্ণ হবে তারাও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার মুখ্য সংগঠক ইমদাদুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম কিরোণ, যুগ্ম আহবায়ক সুলতান সালাউদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি আইনজীবী আবুবকর সিদ্দিক, ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়রা উপজেলা সভাপতি বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় বিজয়। জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরে কিছুটা হলেও মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে আগামীর বাংলাদেশ কোন পথে যাবে। আগামীতে কোনো ফ্যাসিবাদ ‌শক্তি যাতে ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ‌জুলাই ঘোষণাপত্র‌ প্রকাশ করার কথা জানান তারা।

এর আগে, ১০ মে রাত ১১টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি সভায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

আওয়ামী লীগের ‌‌কার্যক্রম ‌নিষিদ্ধ করায় কয়রায় আনন্দ মিছিল

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আজ সোমবার আনন্দ মিছিল করেছে খুলনার কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কয়রা উপজেলা সদরের কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কয়রা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের সময় মিছিল থেকে ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘হৈই হৈই রই রই, আওয়ামী লীগ গেলি কই‘, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মিছিল শেষে কয়রা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিষ্টি বিতরণ করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কয়রা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পরেই আমাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। দীর্ঘ একটি সময় পরে আমাদের সেই দাবি পূরণ হয়েছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত আওয়ামী লীগকে সর্বতোভাবে নিষিদ্ধ কর‍তে হবে। আগামীতেও আওয়ামী লীগের ভূমিকায় যারাই অবতীর্ণ হবে তারাও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার মুখ্য সংগঠক ইমদাদুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম কিরোণ, যুগ্ম আহবায়ক সুলতান সালাউদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি আইনজীবী আবুবকর সিদ্দিক, ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়রা উপজেলা সভাপতি বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় বিজয়। জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরে কিছুটা হলেও মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে আগামীর বাংলাদেশ কোন পথে যাবে। আগামীতে কোনো ফ্যাসিবাদ ‌শক্তি যাতে ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ‌জুলাই ঘোষণাপত্র‌ প্রকাশ করার কথা জানান তারা।

এর আগে, ১০ মে রাত ১১টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি সভায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।