বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • ৮১৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গায় গত দুদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদহের পর আজ থেকে তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সহজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার ( ০৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপদাহে হিটস্টোকের ঝুকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপদাহে বয়স্কদের সব থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমান একজন বাদাম বিক্রেতা বলেন, শহরের অলিগলিতে পায়ে হেটেই ভাজা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালায়। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। আজ তো অতিরিক্ত গরম। আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন মুরগী খামারি বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগী মারা যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ছে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের মুরগী মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসা অবস্থা হয়ে পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রোদের প্রচুর তেজ। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্ছেনা। ঘরের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম। ফ্যানের বাতাস যেন আগুন হয়ে ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গায় গত দুদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদহের পর আজ থেকে তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সহজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার ( ০৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপদাহে হিটস্টোকের ঝুকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপদাহে বয়স্কদের সব থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমান একজন বাদাম বিক্রেতা বলেন, শহরের অলিগলিতে পায়ে হেটেই ভাজা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালায়। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। আজ তো অতিরিক্ত গরম। আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন মুরগী খামারি বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগী মারা যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ছে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের মুরগী মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসা অবস্থা হয়ে পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রোদের প্রচুর তেজ। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্ছেনা। ঘরের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম। ফ্যানের বাতাস যেন আগুন হয়ে ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমতে পারে।