শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গায় গত দুদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদহের পর আজ থেকে তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সহজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার ( ০৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপদাহে হিটস্টোকের ঝুকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপদাহে বয়স্কদের সব থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমান একজন বাদাম বিক্রেতা বলেন, শহরের অলিগলিতে পায়ে হেটেই ভাজা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালায়। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। আজ তো অতিরিক্ত গরম। আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন মুরগী খামারি বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগী মারা যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ছে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের মুরগী মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসা অবস্থা হয়ে পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রোদের প্রচুর তেজ। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্ছেনা। ঘরের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম। ফ্যানের বাতাস যেন আগুন হয়ে ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গায় গত দুদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদহের পর আজ থেকে তীব্র তাপদহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সহজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার ( ০৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

তীব্র তাপদাহে হিটস্টোকের ঝুকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপদাহে বয়স্কদের সব থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমান একজন বাদাম বিক্রেতা বলেন, শহরের অলিগলিতে পায়ে হেটেই ভাজা বাদাম বিক্রি করে সংসার চালায়। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। আজ তো অতিরিক্ত গরম। আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন মুরগী খামারি বলেন, তীব্র গরমে বয়লার মুরগী মারা যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ছে হচ্ছে। পোল্ট্রি, লেয়ার, কালার বার্ড, সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের মুরগী মারা যাচ্ছে গরমে। এতে খামারিদের পথে বসা অবস্থা হয়ে পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জুয়েল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রোদের প্রচুর তেজ। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্ছেনা। ঘরের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম। ফ্যানের বাতাস যেন আগুন হয়ে ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমতে পারে।