শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

রিভিউ খারিজের রায় শুনেছেন আসামিরা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনকে রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। একই মামলার অপর দুই আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুল বন্দী আছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। তাদেরও রায় পড়ে শুনানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে তাদের রায় পড়ে শোনানো হয় বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সগীর আলী জানান, সকালে রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় রিপনকে। এখন একমাত্র রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ আছে তার। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সিলেটে ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

২০০৯ সালে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন। আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়।

গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। গত রবিবার দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত মঙ্গলবার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

রিভিউ খারিজের রায় শুনেছেন আসামিরা !

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনকে রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। একই মামলার অপর দুই আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুল বন্দী আছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। তাদেরও রায় পড়ে শুনানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে তাদের রায় পড়ে শোনানো হয় বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সগীর আলী জানান, সকালে রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় রিপনকে। এখন একমাত্র রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ আছে তার। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে সিলেটে ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

২০০৯ সালে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন। আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়।

গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। গত রবিবার দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত মঙ্গলবার।