শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু: চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ, চিকিৎসকের পাল্টা ব্যাখ্যা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্রোক ও অ্যাজমাজনিত সমস্যায় ভোগা আব্দুল মমিন মালিতা পানু (৮০) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মারা যান। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুরানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘ চার দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগে বারবার জানানো হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক যথাসময়ে আসেননি। চিকিৎসক না এসে প্রথমে একজন সহকারী পাঠানো হয়। এ সময় জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে অবহেলার শিকার হয়ে রোগীর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

মৃতের বড় ছেলে মাসুদ আল মাহমুদ তুষার (৪৫), নাতি তানজিম সাকিব অর্থ (২২) এবং মাসফিক আল মাহমুদ সম্পদ (১৮) বলেন, “আমরা বারবার ডেকেছি, কিন্তু দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আসেননি। অবহেলা না হলে হয়তো বাবা আজ বেঁচে থাকতেন।”

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের জানান, “জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ প্রচুর। সরাসরি ওয়ার্ডে যাওয়ার সুযোগ সবসময় থাকে না। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসককে পাঠানো হয়, তারা পরিস্থিতি জানালে আমরা ব্যবস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, গালিগালাজ করেছেন, এমনকি মারধরের চেষ্টা করেন। এতে আমি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নিতে বাধ্য হই।”

পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের স্বজনদের শান্তনা দেওয়া হয়।

রাত প্রায় ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আব্দুল মমিন মালিতার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি গোপালপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ জানান, কেউ অভিযোগ করতে চাইলে লিখিতভাবে তা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, আরএমও বা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়া যেতে পারে। তবে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু: চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ, চিকিৎসকের পাল্টা ব্যাখ্যা

আপডেট সময় : ০২:২২:৫৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্রোক ও অ্যাজমাজনিত সমস্যায় ভোগা আব্দুল মমিন মালিতা পানু (৮০) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মারা যান। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুরানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘ চার দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগে বারবার জানানো হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক যথাসময়ে আসেননি। চিকিৎসক না এসে প্রথমে একজন সহকারী পাঠানো হয়। এ সময় জরুরি চিকিৎসা না পেয়ে অবহেলার শিকার হয়ে রোগীর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

মৃতের বড় ছেলে মাসুদ আল মাহমুদ তুষার (৪৫), নাতি তানজিম সাকিব অর্থ (২২) এবং মাসফিক আল মাহমুদ সম্পদ (১৮) বলেন, “আমরা বারবার ডেকেছি, কিন্তু দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আসেননি। অবহেলা না হলে হয়তো বাবা আজ বেঁচে থাকতেন।”

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের জানান, “জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ প্রচুর। সরাসরি ওয়ার্ডে যাওয়ার সুযোগ সবসময় থাকে না। প্রথমে ইন্টার্ন চিকিৎসককে পাঠানো হয়, তারা পরিস্থিতি জানালে আমরা ব্যবস্থা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, গালিগালাজ করেছেন, এমনকি মারধরের চেষ্টা করেন। এতে আমি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নিতে বাধ্য হই।”

পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের স্বজনদের শান্তনা দেওয়া হয়।

রাত প্রায় ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আব্দুল মমিন মালিতার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি গোপালপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ জানান, কেউ অভিযোগ করতে চাইলে লিখিতভাবে তা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, আরএমও বা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়া যেতে পারে। তবে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।