‘রক্তের বিনিময়ে হলেও রাবিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই’; সালাউদ্দিন আম্মার

বিগত ২৮ তারিখ রাকসুর ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করার তারিখ থাকলেও তা করা হয়নি। কিজন্য রাকসুর ভোটার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো প্রকাশ করেনি? অনতিবিলম্বে রাকসুর ভোটার তালিকা প্রশাসন থেকে প্রকাশ করতে হবে এবং রুয়ার নির্বাচন ১০ তারিখেই করতে হবে। রক্তের বিনিময়ে হলেও আমরা রুয়াকে প্রতিষ্ঠা করে, রাকসুকে প্রতিষ্ঠা করে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অ্যালামনাই অ্যাসোশিয়েশন (রুয়া) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সময়মতো নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিচ্ছি রুয়াকে বানচাল করার অপচেষ্টা যারা করছে তারা রাকসুকে বানচাল করার অপচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা রুয়া নিয়ে সাবেকদের থেকে বেশি ভাবছি, কারন রুয়া হওয়ার সুশৃঙ্খলতার উপর নির্ভর করছে যে আগামীতে রাকসু নির্বাচন কেমন হবে। এটার উপরই নির্ভর করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কতটা গণতান্ত্রিক।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা , সিন্ডিকেট না রাকসু? রাকসু রাকসু “সিন্ডিকেট না রুয়া? রুয়া রুয়া’, “রাকসু নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না”, “রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না”, “সিলেকশন না ইলেকশন? ইলেকশন ইলেকশন”, “অ্যাকশান টু অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, “জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো”, “রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়” ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা জানান, রুয়া নির্বাচন সঠিক সময়েই করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো তালবাহানা আমরা করতে দিব না। যে কুচক্রী মহল রুয়া বানচাল করতে চাচ্ছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না। আমাদের রক্তের উপর দিয়ে হলেও রুয়া এবং রাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রাণের সংগঠন হলো রুয়া। রুয়া নির্বাচন কে আমরা একটা পরীক্ষা হিসাবে নিচ্ছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রুয়া নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে পারে তাহলে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি রাকসু নির্বাচন ও সুষ্ঠুভাবে দিতে পারবে বলে মনে করি।

এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

‘রক্তের বিনিময়ে হলেও রাবিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই’; সালাউদ্দিন আম্মার

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

বিগত ২৮ তারিখ রাকসুর ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করার তারিখ থাকলেও তা করা হয়নি। কিজন্য রাকসুর ভোটার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো প্রকাশ করেনি? অনতিবিলম্বে রাকসুর ভোটার তালিকা প্রশাসন থেকে প্রকাশ করতে হবে এবং রুয়ার নির্বাচন ১০ তারিখেই করতে হবে। রক্তের বিনিময়ে হলেও আমরা রুয়াকে প্রতিষ্ঠা করে, রাকসুকে প্রতিষ্ঠা করে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অ্যালামনাই অ্যাসোশিয়েশন (রুয়া) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সময়মতো নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিচ্ছি রুয়াকে বানচাল করার অপচেষ্টা যারা করছে তারা রাকসুকে বানচাল করার অপচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা রুয়া নিয়ে সাবেকদের থেকে বেশি ভাবছি, কারন রুয়া হওয়ার সুশৃঙ্খলতার উপর নির্ভর করছে যে আগামীতে রাকসু নির্বাচন কেমন হবে। এটার উপরই নির্ভর করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কতটা গণতান্ত্রিক।

বিক্ষোভ মিছিলে তারা , সিন্ডিকেট না রাকসু? রাকসু রাকসু “সিন্ডিকেট না রুয়া? রুয়া রুয়া’, “রাকসু নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না”, “রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না”, “সিলেকশন না ইলেকশন? ইলেকশন ইলেকশন”, “অ্যাকশান টু অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশান”, “জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো”, “রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়” ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা জানান, রুয়া নির্বাচন সঠিক সময়েই করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো তালবাহানা আমরা করতে দিব না। যে কুচক্রী মহল রুয়া বানচাল করতে চাচ্ছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না। আমাদের রক্তের উপর দিয়ে হলেও রুয়া এবং রাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রাণের সংগঠন হলো রুয়া। রুয়া নির্বাচন কে আমরা একটা পরীক্ষা হিসাবে নিচ্ছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রুয়া নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে পারে তাহলে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি রাকসু নির্বাচন ও সুষ্ঠুভাবে দিতে পারবে বলে মনে করি।

এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।