বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলায় যা বলেছিলেন মোদি

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বসে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলছেন। বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও ভারত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে তা আল জাজিরাকে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস।

চলতি মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধান উপদেষ্টার। সেই বৈঠকে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদান নিয়ে কথা বলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তখন তার বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, ‌‘শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?’

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।”

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার তখন জিজ্ঞেস করেন মোদি কী বলেছিলেন?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন- ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

আল জাজিরাকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়। ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আমরা ভারতকে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তাতে তারা কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এখন আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলায় যা বলেছিলেন মোদি

আপডেট সময় : ১১:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বসে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলছেন। বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও ভারত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে তা আল জাজিরাকে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূস।

চলতি মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রধান উপদেষ্টার। সেই বৈঠকে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদান নিয়ে কথা বলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তখন তার বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, ‌‘শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?’

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।”

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার তখন জিজ্ঞেস করেন মোদি কী বলেছিলেন?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন- ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

আল জাজিরাকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়। ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আমরা ভারতকে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তাতে তারা কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এখন আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় হাঁটছি।