বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে যা করবেন

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮০২ বার পড়া হয়েছে
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঘটনায় মৃত্যু এখন আর বিরল নয়। আশপাশে প্রায়ই এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবর শোনা যায়। চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বলা হয় ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বাস্তবে বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু উপসর্গের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ উপসর্গ হলো—বুকে চাপ অনুভব করা, ব্যথা বা অস্বস্তি। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে চাপ ও অল্প ব্যথা থাকে, যা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বা মাঝে মাঝে থেমে গিয়ে আবার ফিরে আসে। ব্যথা কেবল বুকে সীমাবদ্ধ না থেকে পিঠ, ঘাড়, চোয়াল কিংবা পাকস্থলীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঙ্গে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ঘাম, বমি ভাব বা মাথা ঘোরা।

হার্ট যখন পর্যাপ্ত ও সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, তখনই ঘটে হার্ট অ্যাটাক। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও মানসিক চাপ—এসব ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থেকেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হলে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দিতে হবে। প্রতিবার কাশির আগে গভীর শ্বাস নিতে হবে। এভাবে প্রতি দুই মিনিট অন্তর অন্তর দীর্ঘশ্বাস ও কাশির সমন্বয়ে চলতে থাকলে হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম হয়।

এই ‘কাশি থেরাপি’ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত রোগীর হৃদ্‌পিণ্ডকে সাপোর্ট দিতে পারে। কারণ, গভীর শ্বাসে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে এবং কাশির মাধ্যমে বুকে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তা হার্টকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, উপসর্গ চিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। তাই হার্টের যেকোনো অস্বস্তিকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই জীবন রক্ষার অন্যতম চাবিকাঠি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে যা করবেন

আপডেট সময় : ০১:০৬:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঘটনায় মৃত্যু এখন আর বিরল নয়। আশপাশে প্রায়ই এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবর শোনা যায়। চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বলা হয় ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বাস্তবে বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু উপসর্গের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ উপসর্গ হলো—বুকে চাপ অনুভব করা, ব্যথা বা অস্বস্তি। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে চাপ ও অল্প ব্যথা থাকে, যা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বা মাঝে মাঝে থেমে গিয়ে আবার ফিরে আসে। ব্যথা কেবল বুকে সীমাবদ্ধ না থেকে পিঠ, ঘাড়, চোয়াল কিংবা পাকস্থলীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঙ্গে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ঘাম, বমি ভাব বা মাথা ঘোরা।

হার্ট যখন পর্যাপ্ত ও সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, তখনই ঘটে হার্ট অ্যাটাক। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও মানসিক চাপ—এসব ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থেকেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হলে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দিতে হবে। প্রতিবার কাশির আগে গভীর শ্বাস নিতে হবে। এভাবে প্রতি দুই মিনিট অন্তর অন্তর দীর্ঘশ্বাস ও কাশির সমন্বয়ে চলতে থাকলে হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষম হয়।

এই ‘কাশি থেরাপি’ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত রোগীর হৃদ্‌পিণ্ডকে সাপোর্ট দিতে পারে। কারণ, গভীর শ্বাসে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে এবং কাশির মাধ্যমে বুকে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তা হার্টকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, উপসর্গ চিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। তাই হার্টের যেকোনো অস্বস্তিকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াই জীবন রক্ষার অন্যতম চাবিকাঠি।