শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

কাঁচা আমে পাবেন যেসব ভিটামিন

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮০১ বার পড়া হয়েছে
কাঁচা আমের নাম শুনলেই মুখে পানি চলে আসে। কাঁচা আম যে শুধু মজার তাই নয়, বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধও। কাঁচা আমের পুষ্টি ও উপকারিতা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা।

কাঁচা আমের পুষ্টিগুণ

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি ৬, ফোলেট ও অন্যান্য প্রচুর পুষ্টি উপাদান। কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। অন্যান্য ফলের মতো মিষ্টি না হওয়ায় এতে চিনির নেই বললেই চলে। তাই যারা ডায়েট করছেন বা ডায়াবেটিস রোগী তারা অনায়াসে খেতে পারবেন কাঁচা আম।

উপকারিতা

কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কাজ করে। তাই বয়স ধরে রাখতে কাঁচা আম খেতে পারেন। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন ই, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কাঁচা আমে থাকা বিটা ক্যারোটিন হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম কাঁচা আমের থাকায় হজমে সহায়ক। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপকারী এই কাঁচা আম।

কাঁচা আমের শরবত

অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায় সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন। কাঁচা আম এগুলো বের হতে বাধা দিয়ে ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কাঁচা আম ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনা ভালো রাখে। আর এসব উপাদানও পেয়ে যাবেন কাঁচা আমে।

কাঁচা আমে আছে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতার সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার চুল, আর ত্বকের জন্যও উপকারী।

গরমে ঘামাচির সমস্যা হয় অনেকের। কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। কারণ কাঁচা আমে থাকা কিছু উপকারী উপাদান ঘামাচি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন

তীব্র গরমে কাঁচা আমের স্বাদ এনে দিতে পারে স্বস্তি। কাঁচা আমের শরবত, চাটনি, আম দিয়ে ডাল, কাঁচা আম ভর্তাসহ আরও নানা পদ তৈরি করে খাওয়া যায়। তাছাড়া সারা বছর খাওয়ার জন্য করে রাখতে পারেন আমের আচার।

সতর্কতা

যত উপকারীই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে উপকারের বদলে অপকারে পাল্লাটাই ভারী হবে। কাঁচা আমের টক ভাব কমানোর জন্য চিনি, লবণ ও ঝাল যোগ করেন অনেকেই। এভাবে কাঁচা আম খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খাওয়া হয়, যা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়।আমের মধ্যে ইউরিশিয়াল নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে অ্যালার্জি ও পেট ফাঁপা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

কাঁচা আমে পাবেন যেসব ভিটামিন

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
কাঁচা আমের নাম শুনলেই মুখে পানি চলে আসে। কাঁচা আম যে শুধু মজার তাই নয়, বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধও। কাঁচা আমের পুষ্টি ও উপকারিতা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা।

কাঁচা আমের পুষ্টিগুণ

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি ৬, ফোলেট ও অন্যান্য প্রচুর পুষ্টি উপাদান। কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। অন্যান্য ফলের মতো মিষ্টি না হওয়ায় এতে চিনির নেই বললেই চলে। তাই যারা ডায়েট করছেন বা ডায়াবেটিস রোগী তারা অনায়াসে খেতে পারবেন কাঁচা আম।

উপকারিতা

কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কাজ করে। তাই বয়স ধরে রাখতে কাঁচা আম খেতে পারেন। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন ই, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কাঁচা আমে থাকা বিটা ক্যারোটিন হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম কাঁচা আমের থাকায় হজমে সহায়ক। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপকারী এই কাঁচা আম।

কাঁচা আমের শরবত

অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায় সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন। কাঁচা আম এগুলো বের হতে বাধা দিয়ে ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কাঁচা আম ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনা ভালো রাখে। আর এসব উপাদানও পেয়ে যাবেন কাঁচা আমে।

কাঁচা আমে আছে আয়রন, যা রক্তস্বল্পতার সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার চুল, আর ত্বকের জন্যও উপকারী।

গরমে ঘামাচির সমস্যা হয় অনেকের। কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। কারণ কাঁচা আমে থাকা কিছু উপকারী উপাদান ঘামাচি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন

তীব্র গরমে কাঁচা আমের স্বাদ এনে দিতে পারে স্বস্তি। কাঁচা আমের শরবত, চাটনি, আম দিয়ে ডাল, কাঁচা আম ভর্তাসহ আরও নানা পদ তৈরি করে খাওয়া যায়। তাছাড়া সারা বছর খাওয়ার জন্য করে রাখতে পারেন আমের আচার।

সতর্কতা

যত উপকারীই হোক না কেন, কোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে উপকারের বদলে অপকারে পাল্লাটাই ভারী হবে। কাঁচা আমের টক ভাব কমানোর জন্য চিনি, লবণ ও ঝাল যোগ করেন অনেকেই। এভাবে কাঁচা আম খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খাওয়া হয়, যা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়।আমের মধ্যে ইউরিশিয়াল নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে অ্যালার্জি ও পেট ফাঁপা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।