শিরোনাম :
Logo রাবিতে ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ ফর ইকোনোমিক রেভ্যুলেশন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার Logo গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ Logo আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ অক্টোবর Logo বিষাক্ত মদ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুর Logo কারফিউ শেষে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা Logo বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে টেক্সটাইল শিক্ষার্থীর মৃত্যু Logo ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo আবারও মুজিববাদী-ভারতপন্থি শক্তি সক্রিয় হচ্ছে : সারজিস আলম

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ ফর ইকোনোমিক রেভ্যুলেশন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:০১:৪১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।