শিরোনাম :
Logo উথলী রেলস্টেশনে মহানন্দা মেইল ট্রেনে বিজিবির অভিযান, হেরোইন উদ্ধার Logo এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, বললেন বিডা চেয়ারম্যান Logo ইবিতে সকলের জন্য স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের উদ্যোগ Logo ভুল বানানে যবিপ্রবির আইডি কার্ড, বিতরণেও ধীরগতি Logo সুদানের দারফুরে আধা সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত: জাতিসংঘ Logo এক ঘণ্টার ব্যবধানে এশিয়ার ৩ দেশে ৪ ভূমিকম্প Logo ৮ হাজার অভিবাসীর বিরুদ্ধে সৌদির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত Logo বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের বিবৃতি চারুকলা ইনস্টিটিউটে “ফ্যাসিষ্ট মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা” জ্বালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা Logo গতকালের কর্মসূচি নিয়ে জামায়াত আমিরের বিশেষ বার্তা

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উথলী রেলস্টেশনে মহানন্দা মেইল ট্রেনে বিজিবির অভিযান, হেরোইন উদ্ধার

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:০১:৪১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।