শিরোনাম :
Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা

বজ্রপাত, ভারি বর্ষণে ভারত, নেপালে শতাধিক মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:০১:৪১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে অকাল ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে ভারতের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যম। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটানা বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে, যেটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে, যা চলবে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত।

প্রতিবেশী দেশ নেপালেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাধারণত দক্ষিণ ভারতে বর্ষা মৌসুম জুনে শুরু হয়। তবে এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই অস্বাভাবিক আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে।

আইএমডি এর আগেই সতর্ক করেছিল যে, এপ্রিল মাসজুড়ে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম অনুভূত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য সরকার উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এমন চরম বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের পরোক্ষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।