বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৪৫৫ বার পড়া হয়েছে

শিহাব উদ্দিন সরকার, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত অনুপস্থিত পাঁচজন কর্মচারীর তিন মাসের ভুয়া বেতনসিটে তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’ এর সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে যবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (স্টেট ও নিরাপত্তা শাখা) মোঃ জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। এছাড়া গতমাসের বেতনসিটে কর্মচারীদের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় অডিট আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও হাজিরা সিটে তাদের স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন বিল তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির। একই উপায়ে বেতনসিট তৈরি করে কয়েক মাস যাবৎ বিএসএস কোম্পানিকে অবৈধ বেতন উত্তোলনে সহযোগিতার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এদিকে মার্চ মাসে আউটসোর্সিংয়ের তিনজন কর্মচারীর বেতনসিট যাচাই-বাছাইয়ের সময় অডিট আপত্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল। অডিট আপত্তিতে বলা হয়, একজন কর্মচারীর নামের স্থানে অন্যজনের স্বাক্ষর রয়েছে এবং অপর দুইজনের স্বাক্ষরের সঙ্গে তাদের মূল স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি। যার দায়িত্বে ছিলেন এই জাহাঙ্গীর কবির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, আমাদের বেশ কয়েকজন বেশিরভাগ সময় আসেনা। যেকোনো একদিন ওদের ডেকে নিয়ে এসে হাজিরাসিটে একবারে সাইন করিয়ে নেন জাহাঙ্গীর স্যার। এইভাবে হাজিরা দেখিয়ে মাসের বিল তৈরি করেন উনি। এছাড়া এই আউটসোর্সিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ ও কর্মচারীদের বিষয়ে সবকিছু একাই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, যে তিন জনের অডিট আপত্তি এসেছে তাদের মধ্যে একজনকে কোম্পানি বদলি করে আরেক জনকে দিয়েছে। কিন্তু বিল তৈরির সময় ভুলে পূর্বের নাম রয়ে গেছে। আর যে দুই জনের স্বাক্ষরে অমিল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে ভেরিফাই করেছে আর আরেকজন ছুটিতে থাকায় এখনো ভেরিফাই করতে পারেনি।

অনুপস্থিত কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখিয়ে বেতনসিট তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। এতোদিন বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে এবিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করতে পারিনি। এখন থেকে তাদের হাজিরার বিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যেই আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

শিহাব উদ্দিন সরকার, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত অনুপস্থিত পাঁচজন কর্মচারীর তিন মাসের ভুয়া বেতনসিটে তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’ এর সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে যবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (স্টেট ও নিরাপত্তা শাখা) মোঃ জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। এছাড়া গতমাসের বেতনসিটে কর্মচারীদের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় অডিট আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও হাজিরা সিটে তাদের স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন বিল তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির। একই উপায়ে বেতনসিট তৈরি করে কয়েক মাস যাবৎ বিএসএস কোম্পানিকে অবৈধ বেতন উত্তোলনে সহযোগিতার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এদিকে মার্চ মাসে আউটসোর্সিংয়ের তিনজন কর্মচারীর বেতনসিট যাচাই-বাছাইয়ের সময় অডিট আপত্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল। অডিট আপত্তিতে বলা হয়, একজন কর্মচারীর নামের স্থানে অন্যজনের স্বাক্ষর রয়েছে এবং অপর দুইজনের স্বাক্ষরের সঙ্গে তাদের মূল স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি। যার দায়িত্বে ছিলেন এই জাহাঙ্গীর কবির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, আমাদের বেশ কয়েকজন বেশিরভাগ সময় আসেনা। যেকোনো একদিন ওদের ডেকে নিয়ে এসে হাজিরাসিটে একবারে সাইন করিয়ে নেন জাহাঙ্গীর স্যার। এইভাবে হাজিরা দেখিয়ে মাসের বিল তৈরি করেন উনি। এছাড়া এই আউটসোর্সিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ ও কর্মচারীদের বিষয়ে সবকিছু একাই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, যে তিন জনের অডিট আপত্তি এসেছে তাদের মধ্যে একজনকে কোম্পানি বদলি করে আরেক জনকে দিয়েছে। কিন্তু বিল তৈরির সময় ভুলে পূর্বের নাম রয়ে গেছে। আর যে দুই জনের স্বাক্ষরে অমিল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে ভেরিফাই করেছে আর আরেকজন ছুটিতে থাকায় এখনো ভেরিফাই করতে পারেনি।

অনুপস্থিত কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখিয়ে বেতনসিট তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। এতোদিন বিভিন্ন কাজের চাপের কারণে এবিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করতে পারিনি। এখন থেকে তাদের হাজিরার বিষয়টি আমি নিজে তত্ত্বাবধান করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যেই আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।