“ক্যাম্পাসে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য করা হবে সংগ্রহশালা, যেখানে তাঁর আদর্শ চর্চিত হবে। ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই লক্ষ্য পূরণে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে” বলে জানান কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাননীয় উপাচার্য শহিদ জিয়াউর রহমানের অবদান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, জাতি যখন চরম দুর্ভোগ ও হতাশার মধ্যে সময় পার করছিল ঠিক তখনই শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে পুনর্জীবিত করেছে। এভাবেই তিনি সবার মনে মধ্যে আশার আলো সঞ্চার করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একই সাথে আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক এবং এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা— এটি আমাদের জন্য গর্বের ও সৌভাগ্যের বিষয়।”
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য। এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ/ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্রসংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।