শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

নির্বাচন কবে? মার্কিন সিনেটরকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সীমিত সংস্কারে রাজি হয়, তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে তারা বৃহত্তর সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যাবে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বিভিন্ন কমিশনের প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাগুলো ধর্মীয় নয়; বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, তবে সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো আলোচনা করেন এবং দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূস এ সময় বলেন, ‘নির্বাচন হবে মুক্ত ও সুষ্ঠু। এটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে। একবার তারা মূল কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হবে। জুলাই চুক্তি দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা স্থির করবে।’

পিটার্স সরকারি সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে।

সিনেটর পিটার্স বলেন, তার মিশিগান কনস্টিটুয়েন্সিতে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন, যার মধ্যে ডেট্রয়ট শহরও অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশাল পরিমাণ মিথ্যা তথ্যও প্রচারিত হয়েছে। এই মিথ্যা তথ্যের কিছু অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করে বলেন, তারা দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করবে, তাদের বর্ণ, ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ বা পরিচয় যাই হোক না কেন।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, ধর্মীয় নয়। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতাদের, সাংবাদিকদের এবং সমাজকর্মীদেরও বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যাতে তারা ধর্মীয় ঐক্যের বাস্তব তথ্য জানতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশ সফরের জন্য বলুন। এর মাধ্যমে আমরা এই মিথ্যা তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব।’

দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাইক্রোক্রেডিটের ভূমিকা এবং একটি দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

নির্বাচন কবে? মার্কিন সিনেটরকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সীমিত সংস্কারে রাজি হয়, তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে তারা বৃহত্তর সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যাবে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় মার্কিন সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বিভিন্ন কমিশনের প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাগুলো ধর্মীয় নয়; বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, তবে সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো আলোচনা করেন এবং দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূস এ সময় বলেন, ‘নির্বাচন হবে মুক্ত ও সুষ্ঠু। এটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে। একবার তারা মূল কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হবে। জুলাই চুক্তি দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা স্থির করবে।’

পিটার্স সরকারি সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে।

সিনেটর পিটার্স বলেন, তার মিশিগান কনস্টিটুয়েন্সিতে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন, যার মধ্যে ডেট্রয়ট শহরও অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশাল পরিমাণ মিথ্যা তথ্যও প্রচারিত হয়েছে। এই মিথ্যা তথ্যের কিছু অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করে বলেন, তারা দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করবে, তাদের বর্ণ, ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ বা পরিচয় যাই হোক না কেন।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসে পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, ধর্মীয় নয়। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতাদের, সাংবাদিকদের এবং সমাজকর্মীদেরও বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যাতে তারা ধর্মীয় ঐক্যের বাস্তব তথ্য জানতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশ সফরের জন্য বলুন। এর মাধ্যমে আমরা এই মিথ্যা তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব।’

দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাইক্রোক্রেডিটের ভূমিকা এবং একটি দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী নিয়ে আলোচনা করেন।