রমজান মাস সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য একটি পবিত্র সময়। এ মাসে হলো আত্মশুদ্ধির মাস। তবে, সেহরি ও ইফতারে সঠিক পানীয় এবং শরবত গ্রহণের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর পানীয় ও শরবত রোজার সময় তৃষ্ণা এবং দুর্বলতা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
রমজানে স্বাস্থ্যকর শরবত ও পানীয় পানের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম বিভিন্ন।
খেজুর ও দইয়ের শরবত: খেজুর একটি আদর্শ উপাদান যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনির কারণে এটি তৎক্ষণাৎ শরীরে শক্তি প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেজুরের শরবত তৈরি করা হলে, তা পেটের জন্য খুব উপকারী। এটি হজম ক্ষমতাও উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
লেবুর শরবত: লেবু আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবুর রস, মধু এবং পানি দিয়ে তৈরি শরবত আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তরমুজের শরবত: তরমুজের মধ্যে ৯২ শতাংশ পানি রয়েছে, যা শরীরকে সঠিকভাবে হাইড্রেটেড রাখে। তরমুজে থাকা পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি তৃষ্ণা নিবারণ এবং শরীরের পানি স্বল্পতা পূরণে সাহায্য করে। এই শরবত খেলে শরীরে সতেজতা ফিরে আসে।
বেলের শরবত: বেলের শরবত রোজার সময় খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়া বেল ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
আদা ও মধুর পানীয়: আদা এবং মধু দিয়ে তৈরি পানীয় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম ক্ষমতাও বাড়ায়। বিশেষত ইফতারের পর এটি পান করলে শরীর পুনরায় শক্তি লাভ করে এবং তৃষ্ণা কমে যায়।
ডাবের পানি: ডাবের পানি একটি প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস সমৃদ্ধ পানীয়। যা শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত তৃষ্ণা মেটায় এবং শরীরের সঠিক হাইড্রেশন নিশ্চিত করে।
তবে রোজায়, তেল, মশলা এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, এসব উপাদান ইফতারের পর শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।