শিরোনাম :
Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দেশে ২০ লাখ মানুষ চোখের গ্লুকোমায় আক্রান্ত

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

গ্লুকোমা চোখের এমন একটি রোগ, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি চিরতরে দৃষ্টি হারাতে পারেন। দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ চোখের রোগ গ্লুকোমায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

তারা বলছেন, ৪০ বছর বয়সের পর থেকে গ্লুকোমায় আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে রোগটি নিয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি ও অ্যারিস্টোভিশনের উদ্যোগে রাজধানীর সোবহানবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তরা এসব কথা বলেন।

সভায় বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের শরীরে যেমন; ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ থাকে, তেমনি চোখেরও প্রেশার আছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের ব্লাড প্রেশার থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি, তেমনি সাধারণত চোখের ভেতরের প্রেশার ১০ থেকে ২১ মিলিমিটার অব মার্কারি। এই প্রেশার যখন ২১ মিলিমিটারের ওপরে চলে যায়, তখন চোখের ভেতরে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত চাপ যখন চোখের ভেতরের অপটিক নার্ভে চাপ দেয় তখন তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এর ফলে চোখে কম দেখা শুরু হয় এবং প্রেশারের কারণে অপটিক নার্ভ যত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তত ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এই সমস্যাটিই হচ্ছে গ্লুকোমা।

এদিন সকাল ১০টায় গ্লকোমা সোসাইটির কার্যালয় ধানমন্ডির হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফ্রি স্ক্রীনিং ক্যাম্প, বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।

র‍্যালির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শাহাবউদ্দিন। একইসঙ্গে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চক্ষু রোগী দেখা হয়। পরে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদ, হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ এম এ মান্নাফ গ্লকোমা রোগের সচেতনতা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. জুয়েলা নাসরিন অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদ। তিনি গ্লুকোমা রোগের গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। গ্লুকোমা প্রতিরোধে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা কামনা করেন।

ট্যাগস :

ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

দেশে ২০ লাখ মানুষ চোখের গ্লুকোমায় আক্রান্ত

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

গ্লুকোমা চোখের এমন একটি রোগ, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি চিরতরে দৃষ্টি হারাতে পারেন। দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ চোখের রোগ গ্লুকোমায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

তারা বলছেন, ৪০ বছর বয়সের পর থেকে গ্লুকোমায় আক্রান্তের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে রোগটি নিয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি ও অ্যারিস্টোভিশনের উদ্যোগে রাজধানীর সোবহানবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তরা এসব কথা বলেন।

সভায় বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের শরীরে যেমন; ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ থাকে, তেমনি চোখেরও প্রেশার আছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের ব্লাড প্রেশার থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি, তেমনি সাধারণত চোখের ভেতরের প্রেশার ১০ থেকে ২১ মিলিমিটার অব মার্কারি। এই প্রেশার যখন ২১ মিলিমিটারের ওপরে চলে যায়, তখন চোখের ভেতরে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত চাপ যখন চোখের ভেতরের অপটিক নার্ভে চাপ দেয় তখন তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এর ফলে চোখে কম দেখা শুরু হয় এবং প্রেশারের কারণে অপটিক নার্ভ যত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তত ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এই সমস্যাটিই হচ্ছে গ্লুকোমা।

এদিন সকাল ১০টায় গ্লকোমা সোসাইটির কার্যালয় ধানমন্ডির হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফ্রি স্ক্রীনিং ক্যাম্প, বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।

র‍্যালির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শাহাবউদ্দিন। একইসঙ্গে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চক্ষু রোগী দেখা হয়। পরে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদ, হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ এম এ মান্নাফ গ্লকোমা রোগের সচেতনতা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. জুয়েলা নাসরিন অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদ। তিনি গ্লুকোমা রোগের গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। গ্লুকোমা প্রতিরোধে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা কামনা করেন।