মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

অযত্ন-অবহেলায় যেনো নিজেই রোগী; আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স

অযত্ন-অবহেলায় যেনো নিজেই রোগী হয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের উপহার পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্ষু রোগীর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কাজে নিয়োজিত এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে থেকে অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন কর্তৃপক্ষের বোঝস্বরূপ পড়ে আছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন বিল্ডিংয়ের এক কোণে পড়ে আছে এই এ্যাম্বুলেন্সটি। অবশ্য এর আগে বেশ কিছু মাস জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরেও পড়ে ছিলো এটি।ভারতের উপহারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর  শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যেসব অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ পেয়েছিল, তাদেরই একটি পায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। সে দিনই অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝে নেয়ার প্রায় সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চালু করা হয়নি এর সেবা। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ যেন গাড়ি থাকলেও ঘোড়া না থাকার মতো অবস্থা।

জানা যায়, আইসিউ অ্যাম্বুলেন্স তো পরের কথা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা চালু নেই। অথচ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়তই মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যেকারণে এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহার এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে যেন কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুত কুমার রায় বলেন, রোগী বহনে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। সদর হাসপাতালটিতে আইসিইউ ইউনিট চালু করার বিষয়ে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইসিউই ইউনিট চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা যাবে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে রয়েছে। তবে সেটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসকের প্রয়োজন। জনবল না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি অব্যবহৃত পড়ে আছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

অযত্ন-অবহেলায় যেনো নিজেই রোগী; আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স

আপডেট সময় : ১২:২২:১০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

অযত্ন-অবহেলায় যেনো নিজেই রোগী হয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের উপহার পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্ষু রোগীর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কাজে নিয়োজিত এ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে থেকে অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন কর্তৃপক্ষের বোঝস্বরূপ পড়ে আছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন বিল্ডিংয়ের এক কোণে পড়ে আছে এই এ্যাম্বুলেন্সটি। অবশ্য এর আগে বেশ কিছু মাস জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরেও পড়ে ছিলো এটি।ভারতের উপহারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর  শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যেসব অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ পেয়েছিল, তাদেরই একটি পায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। সে দিনই অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝে নেয়ার প্রায় সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চালু করা হয়নি এর সেবা। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ যেন গাড়ি থাকলেও ঘোড়া না থাকার মতো অবস্থা।

জানা যায়, আইসিউ অ্যাম্বুলেন্স তো পরের কথা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা চালু নেই। অথচ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়তই মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যেকারণে এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহার এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে যেন কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুত কুমার রায় বলেন, রোগী বহনে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। সদর হাসপাতালটিতে আইসিইউ ইউনিট চালু করার বিষয়ে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইসিউই ইউনিট চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা যাবে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে রয়েছে। তবে সেটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসকের প্রয়োজন। জনবল না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি অব্যবহৃত পড়ে আছে।