শিরোনাম :
Logo জবিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মাশাল মিছিল Logo ধর্ষকদের জনসম্মুখে ফাঁসি দন্ড কার্যকরের দাবিতে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo কয়রায় ৩০ কেজি পারসে মাছের পোনা জব্দ Logo লন্ডনের বিগ বেনে উঠে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন তিনি, ১৬ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশ থেকে আরও ৪২ মে.টন আলু গেল নেপালে Logo কচুয়ায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোজার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল Logo পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে Logo ধর্ষকক যে দলের হোক শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবিতে বেরোবিতে মানববন্ধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ Logo খুবির প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন

পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে

শিহাব উদ্দিন সরকার (যবিপ্রবি প্রতিনিধি)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঐ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শান্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতেরও বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে। টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ঐ পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ারও সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে উক্ত শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এস.এম শরীফুল হক ও উক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো. সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হককে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মাশাল মিছিল

পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

শিহাব উদ্দিন সরকার (যবিপ্রবি প্রতিনিধি)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঐ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। এটিকে গুরুতর অপরাধ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এধরণের অপরাধে সর্বোচ্চ শান্তি হিসেবে চাকুরিচ্যুতেরও বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে। টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি-না যাচাইয়ে দেখা যায়, ঐ পরীক্ষার্থীর নাম্বারের সাথে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নাম্বারের কোন মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ারও সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কিভাবে উক্ত শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এস.এম শরীফুল হক ও উক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো. সালিউদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক মোঃ আমিনুল হককে জানতে চাওয়া হলে তিনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এধরণের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।