বৃহস্পতিবার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারী আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo ইবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু  Logo সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সহজভাবে প্রকাশের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের মাছপট্টি এলাকায় গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে ২ জন আহত Logo ইবির আরবী বিভাগের স্নাতক সমাপনী র‍্যালি অনুষ্ঠিত! Logo খুবিতে ওবিই পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরিমার্জন বিষয়ক প্রশিক্ষণ! Logo সম্পাদক আশরাফ ইকবালের জন্মদিনে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার দিলেন তরুছায়া Logo মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় Logo নোবিপ্রবিতে শনাক্ত ১৩১ প্রজাতি বন্যপ্রাণী Logo শাহজাদপুরে দুই প্রবাসীর লাশ উদ্ধার

আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়: জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

প্রত্যেক বছর এই মৌসুমে যেন বন পুড়ানোর মহোৎসব চলে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে ধরতে পারছেন না কেউ। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবছর এই সময়ে আগুন লাগে এসব বনে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক এস.বি. তানভীর আহমেদ ইমন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এখন শুষ্ক মৌসুমে শালপাতা শুকনো অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে। আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের আগুনের নিভানো হয়েছে। এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো যাতে তারা বিড়ি সিগারেট এর আগুন বনে না ফেলে। আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারী আটক করেছে কোস্ট গার্ড

আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়: জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

আপডেট সময় : ১১:০৫:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

প্রত্যেক বছর এই মৌসুমে যেন বন পুড়ানোর মহোৎসব চলে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে ধরতে পারছেন না কেউ। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবছর এই সময়ে আগুন লাগে এসব বনে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক এস.বি. তানভীর আহমেদ ইমন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এখন শুষ্ক মৌসুমে শালপাতা শুকনো অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে। আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের আগুনের নিভানো হয়েছে। এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো যাতে তারা বিড়ি সিগারেট এর আগুন বনে না ফেলে। আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।”