মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের Logo মহান বিজয় দিবস আগামীকাল Logo নোবিপ্রবি ছাত্রশিবির আয়োজিত আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত Logo জামায়াতের নির্বাচনী সভায় পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণ, এএসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা Logo মিজাফ বিজয় সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়ক ডি এ তায়েব Logo সমাজসেবায় ৯ বছরের পথচলা: জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ভান্ডার ‘বনফুল’ চাঁদপুর শাখা উদ্বোধন Logo প্রাইভেট হাসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন Logo কচুয়ায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়: জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

প্রত্যেক বছর এই মৌসুমে যেন বন পুড়ানোর মহোৎসব চলে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে ধরতে পারছেন না কেউ। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবছর এই সময়ে আগুন লাগে এসব বনে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক এস.বি. তানভীর আহমেদ ইমন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এখন শুষ্ক মৌসুমে শালপাতা শুকনো অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে। আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের আগুনের নিভানো হয়েছে। এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো যাতে তারা বিড়ি সিগারেট এর আগুন বনে না ফেলে। আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রেস সচিবের

আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়: জীববৈচিত্র্য হুমকিতে

আপডেট সময় : ১১:০৫:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

প্রত্যেক বছর এই মৌসুমে যেন বন পুড়ানোর মহোৎসব চলে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে ধরতে পারছেন না কেউ। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে বাতাসের তোড়ে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন তারাই গাছ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন। প্রতিবছর এই সময়ে আগুন লাগে এসব বনে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুস্ক মৌসুমে বনের ঝরা পাতায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বা বন্ধ করা না গেলে বনের মাঝে পাতার নীচে বসবাসকারী কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট কুপিস ও ঔষধি গাছ সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্য পড়বে চরম হুমকিতে।

বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক এস.বি. তানভীর আহমেদ ইমন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এখন শুষ্ক মৌসুমে শালপাতা শুকনো অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে। আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের আগুনের নিভানো হয়েছে। এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো যাতে তারা বিড়ি সিগারেট এর আগুন বনে না ফেলে। আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। যেটুকু আছে তা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।”