শিরোনাম :

‘ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ‘অসত্য’। ঢাকার এই পাল্টা বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে কোনও ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয় না (সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে)। বিষয়টি হলো, তারাও শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট একটি কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। আমরাও দেখেছি যে, এরকম কোনও কিছু নেই। এটি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কিছু দেখি না।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন— যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটির কোনও তদন্ত করা হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়েছি যে, বিষয়টি কী। এখানে দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান আছে কিনা। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি— আসলে মার্কিন একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকাটা দেওয়া হয়। তারা এখানে বিভিন্ন এনজিও’র সঙ্গে কাজ করে।’

অর্থ সবই প্রোপার চ্যানেলে এসেছে। এখানে দুই ব্যক্তিকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে– বিষয়টি সেরকম নয় বলে তিনি জানান।

‘এ ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে সমন করা হয়েছে’, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে আমি কোনও উসকানিমূলক মন্তব্য বলে মনে করি না। একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি যে, এটাতে তেমন কোনও ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) এটাতো স্পষ্ট করে বলেননি যে, বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনও কথা তিনি বলেননি। তিনি দুই ব্যক্তি বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন– সেটি আমি জানি না। কাজেই এরপর আমরা কোনও বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন দেখি না।’

বাংলাদেশের বিবৃতিতে ‘অসত্য’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি বলাই যায়। যেহেতু আমরা কোনও কিছু খুঁজে পাইনি। এরকম কোনও কিছু নেই। কাজেই এটি যে ঠিক না, সেটাই বলা হয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা

‘ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’

আপডেট সময় : ১০:৩০:১২ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ‘অসত্য’। ঢাকার এই পাল্টা বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে কোনও ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয় না (সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে)। বিষয়টি হলো, তারাও শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট একটি কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। আমরাও দেখেছি যে, এরকম কোনও কিছু নেই। এটি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কিছু দেখি না।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন— যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটির কোনও তদন্ত করা হয়নি। আমরা খোঁজ নিয়েছি যে, বিষয়টি কী। এখানে দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান আছে কিনা। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি— আসলে মার্কিন একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকাটা দেওয়া হয়। তারা এখানে বিভিন্ন এনজিও’র সঙ্গে কাজ করে।’

অর্থ সবই প্রোপার চ্যানেলে এসেছে। এখানে দুই ব্যক্তিকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে– বিষয়টি সেরকম নয় বলে তিনি জানান।

‘এ ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে সমন করা হয়েছে’, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে আমি কোনও উসকানিমূলক মন্তব্য বলে মনে করি না। একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি যে, এটাতে তেমন কোনও ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) এটাতো স্পষ্ট করে বলেননি যে, বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনও কথা তিনি বলেননি। তিনি দুই ব্যক্তি বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন– সেটি আমি জানি না। কাজেই এরপর আমরা কোনও বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন দেখি না।’

বাংলাদেশের বিবৃতিতে ‘অসত্য’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে– এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি বলাই যায়। যেহেতু আমরা কোনও কিছু খুঁজে পাইনি। এরকম কোনও কিছু নেই। কাজেই এটি যে ঠিক না, সেটাই বলা হয়েছে।’