বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রমজান উপলক্ষে খেজুর, ছোলা ও চিনির দাম কিছুটা কমলেও বোতলজাত তেল, বেগুন ও লেবুর দামে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।
সোমবার (০৩ মার্চ) ‘২য় রমজান’ দুপুরে বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, যেখানে কয়েকদিন আগেও এর দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা। লেবুর দামও বেড়ে প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, যেখানে কয়েকদিন প্রতিপিস ছিল ৫ থেকে ৬ টাকা।
তবে রমজানের সময় সাধারণত ছোলা, চিরা, মুড়ি ও খেজুরের দাম বাড়ে, তবে এবার এসব পণ্যের বাজার কিছুটা সহনীয়। এক মাস আগে প্রতি কেজি ছোলা ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১০০ টাকায় নেমেছে। গেল বছর রমজানে সাদা চিনির দাম ১৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ১২০ টাকা, আর মিস্ত্রি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকায়।
বাজারে খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নিম্নমানের খেজুর ১৫০ টাকা কেজি, আর উন্নত মানের খেজুর ১,৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দাম সহনীয় থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।
রমজানের বাজার করতে আসা ক্রেতাগণ বলেন, “ছোলা-চিনির দাম কম থাকায় ভালো লাগছে, কিন্তু বেগুন-লেবুর দামে আমরা দিশেহারা।
এদিকে রমজানের আগে থেকেই সারাদেশের মত বাগেরহাটের বাজারেও বোতল জাত ভোজ্য তেলের (সয়াবিন) দাম নিয়ে কারসাজি শুরু হয়েছে।কৃতিমভাবে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক লিটার বোতল জাত তেল কোম্পানি ভেদে বোতলের গায়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা দাম থাকলেও, বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা। ৫ লিটারের বোতলের গায়ে ৮৫২ টাকা দাম লেখা থাকলেও, বিক্রি হচ্ছে ৮৫৫ থেকে ৮৯০ টাকা পর্যন্ত। কোন কোন ব্যবসায়ী বোতলের তেল খুলে, খোলা বাজারে বিক্রি করছেন ১৮৫ টাকা কেজি দরে। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তেল সিন্ডিকেট স্বাভাবিক করার দাবি ভোক্তাদের।
বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কেউ যদি অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তারা যদি কোনো অনিয়ম দেখেন, তাহলে আমাদের জানানোর অনুরোধ করছি।”